মুখ্যমন্ত্রীর ‘রুটিন’ বৈঠক আদপে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি পর্ব দাবি বিরোধীদের রাজ্য November 21, 2017 উত্তরবঙ্গের তিন সীমান্তবর্তী জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির আধিকারিকদের নিয়ে বিগতদিনের কিছু রাজনৈতিক চাপান-উতর ও থেমে যাওয়া প্রকল্প নিয়ে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সরকারের এই সামান্য ‘রুটিন’ সভাকে বেশ গুরুত্ত্ব দিচ্ছেন বিরোধীরা। তাঁদের মতে এটা শুধু সাধারণ সভা নয়, এটি আসলে শাসকদলের পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি পর্ব। আর তাই তাঁদের মতে আগামী কালের বৈঠক কর্মসূচি তেমন কিছুই ইঙ্গিত করতে চলেছে। কারণ পুলিশ প্রশাসনের প্রথম শ্রেণীর অফিসার, বিডিও, বিএলআরও সহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও জেলা সদস্যবৃন্দ কে নিয়ে বৈঠক হতে চলেছে। সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে বৈঠকে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় থমকানো উন্নয়নের কাজ, একাধিক মামলা, আদিবাসী, নেপালিভাষীদের একাংশকে সামনে রেখেও নানা গোলমালের ছক কষার অভিযোগ – এই সব নিয়েই কড়া বার্তা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের মতে তৃণমূল নেত্রী কোচবিহার নিয়ে বেশ চিন্তিত, তাঁদের দাবী, গত লোকসভার জন্য উপনির্বাচনে তৃণমূলের পার্থপ্রতিম রায় জিতলেও বামেদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন বিজেপির হেমচন্দ্র বর্মণ। এরপর আবার ছিটমহল আন্দোলনের নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্তও যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। ক্রমশ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির চা বলয়েও প্রভাব বাড়ছে বিজেপির বলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এমনকি গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রবল মমতা-ঝড়ের মধ্যেও মাদারিহাট বিধানসভা দখল করে বিজেপি। আর এই সব কিছু ছাড়িয়ে বিজেপি নেতা নেত্রীদের বারংবার উত্তরবঙ্গে আসাটাও যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক হলেও ডাকা হয়নি বিরোধীদের। আর তাই বিরোধীদের ‘রুটিন বৈঠকের’ নামে আদতে ‘পঞ্চায়েতের ঘুঁটি সাজানোর’ দাবী ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। অবশ্য বিরোধীদের এই দাবীকে নস্যাৎ করে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বক্তব্য, সব জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকেইআমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, অবান্তর সমালোচনাকে তাই গুরুত্ব দিচ্ছি না। আপনার মতামত জানান -