এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে সরকারি কর্মচারী পরিষদ

ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে সরকারি কর্মচারী পরিষদ


ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ অনেক দিনের। ত্রিপুরা ছাড়া প্রায় সারা ভারতবর্ষের সব রাজ্যই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতন সরকারি কর্মচারীদের বাড়তি বেতন ও মহার্ঘভাতা চালু করে দিয়েছে। বঞ্চিত শুধু এই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীবৃন্দ। এমনটাই দাবি করে সরকারি কর্মচারী পরিষদ এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে । জানা গেছে আগামী ১৬ ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮, শুক্রবার দুপুর দুটোই উন্নয়ন ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ শীঘ্র প্রকাশের দাবিতেই এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে বলে জানা গেছে। সরকারি কর্মচারীবৃন্দর তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে রাজ্যে ষষ্ঠ পে কমিশন এখনো পর্যন্ত কোনো সুপারিশ পেশ করেনি। তাদের মতে ওয়ান নেশন, ওয়ান স্যালারি মোটামুটিভাবে এটাই চালু হয়ে আসছে তবে এই ক্ষেত্রে কেন ষষ্ঠ পে কমিশন এমন টালবাহানা করছে। এতে যে শুধু রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে তাই নয়,পাশাপাশি আর্থিক দিক দিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত ও বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিন সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল জানান যে, ষষ্ঠ পে কমিশনের মেয়াদ ১ বছর বাড়িয়ে ৩ বছর করা হলো। যা একটি নজিরবিহীন ঘটনা।


সারা ভারতবর্ষে এটা কোথাও ঘটেনি। রাজ্য সরকার কর্মীদের স্বার্থই দেখছেন না। চক্রান্ত করা হয়েছে। এমনকি এই রাজ্যেও এ জিনিস আগে ঘটেনি। এর দ্বারা কর্মচারীবৃন্দ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন যে, আমরা সন্দেহ প্রকাশ করছি যে তৃণমূল সরকার ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে কিছুতেই তাদের প্রাপ্য ডিএ দেবেনা। পাশাপাশি বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়েও জানান যে, অতি দ্রুত ডিএ সংক্রান্ত স্থায়ী বন্দোবস্ত এবং সেন্ট্রাল পে স্কেল এর রেকমেন্ডেশন সাবমিট করার দাবিতে আমরা বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ ষষ্ঠ পে কমিশন অফিসের একটু দূরে উন্নয়ন ভবনের সামনে দুপুর ২ টো থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কামসূচির ডাক দিয়েছি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!