এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উৎসাহভাতা পাবেন এবার রাজ্যের এই কর্মীরাও, করোনা আবহে খুশির খবর রাজ্যে!

উৎসাহভাতা পাবেন এবার রাজ্যের এই কর্মীরাও, করোনা আবহে খুশির খবর রাজ্যে!


রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যেভাবে রাজ্য সরকার একের পর এক রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা এবং বেতন বৃদ্ধি করে চলেছেন, তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই খুশির মেজাজে ভরপুর সরকারি কর্মচারীরা। যদিও করোনা আবহের এই জটিল সময়ে রাজ্য অর্থ দপ্তর আগেই ঘোষণা করেছে রাজ কোষাগারের অবস্থা শোচনীয়, কিন্তু তা সত্বেও যেভাবে সরকারী কর্মচারীদের বেতন বেড়ে চলেছে এবং ভাতা প্রদান চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

যদিও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে রাজ্যের আর্থিক সংকটের ব্যাপারটি মানতে নারাজ। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাবে বেতন এবং বোনাস ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এবার সেই তালিকায় নাম উঠল পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাঁদের জন্য এবার রাজ্য সরকার উৎসাহ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি প্রতিদিনের হিসাবে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। করোনা সংকটকালে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন।

তাঁরা সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস রোগীদের চিহ্নিত করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনযাঈ ঘুরছেন বলে জানা গেছে। এইসব স্বাস্থ্যকর্মীদের এবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর অতিরিক্ত 1000 টাকা উৎসাহ ভাতা হিসাবে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বলে খবর। অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি বাড়ি ঘোরার কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাটতি দেখা দিলে অবশ্যই পুরসভার পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিদিন 75 টাকা হিসেবে সর্বাধিক 22 দিন কাজ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। পুরসভার পাশাপাশি একইভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও এই স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় শুকনো খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কিংবা কমিউনিটি রান্নাঘর খোলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর কড়া নির্দেশ জারি করেছে বিভিন্ন পুরসভার ওপর।

তাঁরা সতর্ক করে দিয়েছেন, কোনভাবেই করোনা মোকাবিলার অর্থ অন্য কোন প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবেনা। সেগুলি জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে করোনার সাথে সাথে ডেঙ্গি সহ অন্যান্য পতঙ্গ বাহিত রোগ যাতে এই সময় রাজ্যে থাবা বসাতে না পারে, তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পুরসভাগুলি। ইতিমধ্যে পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর গত দু’বছরের তথ্য মিলিয়ে রাজ্যের 43 টি পুরসভাকে ডেঙ্গিপ্রবণ বলে চিহ্নিত করেছে বলে জানা গেছে। আগামী 20 মে’র মধ্যে সমস্ত পুরো কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গি নিয়ে মাইক্রো প্ল্যান জমা করার কথা বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “কোভিড-১৯-এর ফাঁক গলে যাতে কোনও ভাবেই পতঙ্গবাহিত রোগ মাথাচাড়া না-দেয়, সেই বিষয়ে প্রতিনিয়ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” অন্যদিকে রাজ্যের পুর নগর উন্নয়ন দপ্তর করোনা মোকাবিলায় বরাদ্দ অর্থ খরচ করার ব্যাপারে যেভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে তা নিয়ে ক্ষোভ জমে উঠছে সব মহলেই। প্রধানত বিরোধীরা এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে অন্য কোন ঘটনা খোঁজার চেষ্টা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!