এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > চা-বলয়ে ১৮% অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি বৃদ্ধি করেও প্রবল ক্ষোভের মুখে রাজ্য সরকার

চা-বলয়ে ১৮% অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি বৃদ্ধি করেও প্রবল ক্ষোভের মুখে রাজ্য সরকার

উত্তরবঙ্গের চা-বলয়ে শ্রমিক ক্ষোভে প্রলেপ দিতে বৈঠক ডেকে আরো বড় ক্ষোভের সামনে পড়লেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। কিছুদিন আগেই চা বাগানের শ্রমিকদের সাড়ে ১৭ টাকা অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি বৃদ্ধি করেছিল রাজ্য সরকার। আর তারপর থেকেই ক্ষোভ বাড়ছিল চা বাগানের স্টাফ ও সাব স্টাফদের মধ্যে। সেই ক্ষোভের আঁচ নবান্নেও পৌঁছায় আর তাই তড়িঘড়ি উত্তরকন্যায় বাগান মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রমমন্ত্রী। শ্রমিক ইউনিয়নগুলির অভিযোগ ছিল এতদিন ধরে কোনো বৈঠকই ডাকেননি মন্ত্রীর তৈরী করে দেওয়া ফোরামের লেবার কমিশনার, ফলে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বিশ বাঁও জলে। এর মাঝেই শ্রমমন্ত্রী স্বয়ং বৈঠক ডাকায় একরাশ আশা নিয়ে তাতে যোগদেন সম্মিলিত শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।

কিন্তু শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক প্রথমে জানান ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সরকার কোনো রিপোর্ট এখনো না পাওয়ায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় নি। আর তাই আপাতত ১৮% অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি বৃদ্ধি করা হল যা গত ১ লা জানুয়ারী, ২০১৮ থেকে কার্যকর হবে। মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় হতচকিত হয়ে যান তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি সহ বৈঠকে উপস্থিত শ্রমিক নেতারা। তাঁরা স্পষ্ট জানান, এই বৈঠকে তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন মজুরিবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে আসেননি, তবুও যদি তা করতে হয় তবে তা ২০১৭ সালের ১ লা এপ্রিল থেকে কার্যকর করার কথা ছিল। পাশাপাশি ২২ মাসের রেশনও তাঁরা পাননি – ফলে চরম অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। আর এই নিয়েই বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তুমুল হট্টগোলের মাঝে আবারো ১৮% অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে দিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান মন্ত্রী। আর তারফলে রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছেন চা বাগানের শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। তাঁদের বক্তব্য, মন্ত্রীর ঠিক করে দেওয়া লেবার কমিশনার কোনো বৈঠক ডাকেননা, মন্ত্রী স্বয়ং সেই নিয়ে কিছু জানেননা। ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে কোনো আসার আলো দেখা যাচ্ছে না, সঙ্গে যা দেওয়া হচ্ছে সেখানেও চরম বঞ্চনা! সবমিলিয়ে দার্জিলিং, তরাই ও ডুয়ার্সের পূর্ণাঙ্গ ৩৭৩টি চা বাগানের স্টাফেরা অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় আছি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!