এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে মৃত্যুভয় উড়িয়ে দাপুটে কাউন্সিলরদের মন্ত্র – যায় যদি যাক প্রাণ, সবার আগে জনগন!

করোনা আবহে মৃত্যুভয় উড়িয়ে দাপুটে কাউন্সিলরদের মন্ত্র – যায় যদি যাক প্রাণ, সবার আগে জনগন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হীরক রাজার দরবারে তোষামোদ করতেই দিন চলে যেত সকলের। জনগণ বিপদে পড়ুক, তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু সেই জনগণের মুখ থেকে হীরক রাজাকে শুনতেই হবে যে, “যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান।” অর্থাৎ তার বিরোধিতা করার মত মানুষের সাহস ছিল না বললেই চলে। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন মানুষের পাশে থাকতে “যায় যদি যাক প্রাণ, সবার আগে জনগণ” এই নীতিকে মাথায় রেখেই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কাউন্সিলররা।

ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা বর্তমান কো-অর্ডিনেটর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সুস্থ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই আবার ময়দানে নেমে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে তাদের। সাত নম্বর বরোর কো-অর্ডিনেটর জীবন সাহা। কিছুদিন আগেই সুস্থ হয়েছেন। কিন্তু আবার তিনি ময়দানে নেমে পড়েছেন। এদিন তিনি বলেন, “ভয়ে গুটিয়ে রাখা যাবে না নিজেকে। কাজ করতেই হবে। এবার বেশি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে সম্প্রতি সুস্থ হয়ে ওঠা 6 নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর বরুণ নট্ট বলেন, “সুস্থ হয়ে পৌরসভায় আসা শুরু করেছি। ঘরে একসঙ্গে দু’তিন জনের বেশি থাকতে দিচ্ছি না‌। দূরত্ব মেনে চেয়ার রাখা হয়েছে। আর সব সময় মুখে মাস্ক।”একইভাবে করোনাভাইরাস হলেও সকলকে যে তার মানসিকতা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বারাসাত পৌরসভার প্রশাসনিক মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “করোনা নিয়ে আতঙ্ক নয়। সাবধানে থাকাটাই জরুরি। বাইরে থেকে এসে জামাকাপড় ছেড়ে গরম জলে স্নান, আদা, তেজপাতা দিয়ে চা খান।”

‌ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয়াবহ এই দুর্যোগের সংকটকালে মানুষ দেখে নিচ্ছে, তাদের পাশে কারা কারা থাকছে। তাই এই সময়কে কোনমতেই হাতছাড়া করতে  নারাজ জনপ্রতিনিধিরা । যার ফলে অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও  সুস্থ হওয়ার  সাথে সাথেই ময়দানে নেমে মানুষের পাশে থাকার  জন্য ব্রতী  হয়েছেন। অর্থাৎ  জনপ্রতিনিধিরা  প্রতিমুহূর্তে প্রমাণ  দেওয়ার  চেষ্টা করছেন,তাদের যতই প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন,তারা দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকবেন। স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রতিনিধিদের এইরকম মনোভাব খুশি করছে জনসাধারণকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!