এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > নির্বাচন কমিশনারকে মন্ত্রীদের শাসানি! নবান্নে বসে চরম অস্বস্তিতে বাংলার আমলারা

নির্বাচন কমিশনারকে মন্ত্রীদের শাসানি! নবান্নে বসে চরম অস্বস্তিতে বাংলার আমলারা


নির্বাচন কমিশনারকে মন্ত্রীদের শাসানি! নবান্নে বসে চরম অস্বস্তিতে বাংলার আমলারা। যদিও কমিশনারকে হুমকি দেওয়া কোনো নতুন বিষয় নয়। এর আগেও সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের সাথে বিবাদে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচনী কমিশনার মীরা পান্ডে। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুমকি চিঠি তিনি পেয়েছিলেন। ব্যতিক্রম কিছু বর্তমান রাজ্য কমিশনারের সাথেও ঘটেনি এমনটাই দাবি করা হয়েছে কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে।
এই নিয়ে ওই পোর্টালের তরফ থেকে আরো দাবি করা হয়েছে যে

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

মনোনয়ন পাশের দিন বৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন কমিশনার এ কে সিংহের বাড়ি গিয়ে শাসকদলের তিন নেতা তাঁকে হুমকি দেয় এবং এই কথা এক নেতা স্বীকারও করেন। বিষয়টিকে কটাক্ষ ক্রীক বিরোধী নেতা বলেন,’শাসকের শাসানি থেকে এ বার কমিশনও রেহাই পেল না!’ বিষয়টি নিয়ে সুশান্তরঞ্জন বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”মাফ করবেন, আমাকে আর রাজনীতিতে জড়াবেন না।” মীরা পান্ডের সাথে এবিষয়ে কথা বলার জন্য ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি। তাঁর এক ঘনিষ্ট বলেন, “চার দিকে যা চলছে তাতে ম্যাডামকে আর বিব্রত করবেন না। তিনি এ সবে জড়াতে চান না।” দশ বছর আগের  কমিশনার অশোক গুপ্ত বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার উদ্যেশ্যে মন্তব্য করেন, “পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যা চলছে, সে দিকে খেয়ালই রাখছি না।’ তবে বর্তমান কোনো আমলেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারছেন না। কেউ সরাসরি মন্তব্যও করছেন না। একজনের কথায়, ”জেলাশাসকের অফিসের সামনে ছুরি মারা শুরু হয়েছে। নবান্নের সামনে আসতে তা আর কতক্ষণ।” শাসকদলের চাপে পরে যেভাবে বর্তমান কমিশনার জারি করা নির্দেশ প্রত্যাহার করেছেন সে বিষয় নিয়েও ঝড় উঠেছে প্রকট আমলা মহলে। এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব সৌরীন রায় বলেন, ”এখন তো পুরনো আমল নয়। সবই টিভিতে দেখিয়ে দেয়। অস্বীকার করার উপায় নেই।” প্রাক্তন মুখ্যসচিব অশোকমোহন চক্রবর্তীর কথায়, ” দলগুলির সব সময় নিয়ম ভেঙে খেলার কী দরকার!” প্রবাসী প্রাক্তন মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেন সরাসরি মন্তব্য করেন, ”দিল্লিতে থাকি, তাই আমার ভয় কম। কমিশনারকে এখনই সরানো উচিত। আর মন্ত্রীরা কমিশনারের বাড়ি গিয়ে শাসিয়ে এসেছেন শুনে অবাক হচ্ছি না। এটাই এগিয়ে বাংলার নমুনা।”যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!