করোনা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ বিজেপি সাংসদের! জেনে নিন! কলকাতা রাজ্য April 13, 2020 করোনা মহামারীকে আটকাতে শাসক-বিরোধী মতানৈক্য ভুলে গিয়েছেন সকলেই। সকলেই চেষ্টা করছেন, এই মহামারীর সময় মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াতে। বর্তমানে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে গোটা দেশ। সামাজিক সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তার জন্যই এই পদক্ষেপ। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেই লকডাউন সঠিকভাবে পালন করতে দেখা গেলেও, পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গাতে তা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ একাংশের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিরোধীদের পক্ষ থেকেও লকডাউন অমান্য করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া চলছে। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে এবার করোনা মহামারীর বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রেশনে অনিয়ম থেকে শুরু করে লকডাউন অমান্য, বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা যায় হুগলির এই বিজেপি সাংসদকে। শুধু তাই নয়, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে মুখ্যমন্ত্রী অশিক্ষার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় ধর্মসভা চালানো হচ্ছে। তা হচ্ছে পুলিশের সামনেই। কোনো কোনো জায়গায় পুলিশের ওপর ইট ছুড়তে দেখা গেছে। একটি বিশেষ ধর্মকে মুখ্যমন্ত্রী অশিক্ষার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যা করছেন পুরোটাই ভোট ব্যাংকের জন্য। প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলছেন সাহায্যের জন্য তার ফোন 24 ঘন্টা খোলা রয়েছে। কিন্তু তাতে কান দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের থেকে আলাদা করে রেখেছেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের মধ্যেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমাবেশ লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর পরোক্ষে সেই কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে লকডাউন ভাঙার জন্য দায়ী করলেন হুগলির এই বিজেপি সাংসদ। অন্যদিকে রাজ্যে একের পর এক বাজার খোলা নিয়েও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের রোষানলে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকেটদেবী বলেন, “শ্রদ্ধা ভক্তি রেখেই বলছি, ঠাকুর ফুল ছাড়াও থাকতে পারবেন। ফুল ছাড়াও মন থেকে ঠাকুর পুজো করা যায়। বাজারগুলোতে পুলিশের সামনেই গাদাগাদি করে বাজার করছেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসন কেন গোল দাগ কেটে দিয়ে সাহায্য করছে না!” আর এরপরই রেশনের জিনিস নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেত্রী। তিনি বলেন, “যেখানে কেন্দ্র বলেছে প্রতি মাসে 5 কেজি চাল 1 কেজি ডাল তিন মাসের জন্য ফ্রিতে পাওয়া যাবে। সেখানে এই সরকার তা দিচ্ছে না। রেশনের মাল বিলি করে তৃণমূলের বিধায়ক, কাউন্সিলররা প্রচার করছেন। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে না দিয়ে তা তৃণমূলের নেতারা নিজেরাই তুলে নিচ্ছেন। তৃণমূল নেতারা কি চাষবাস শুরু করেছেন? যাতে তাদের ঘরে ঘরে হঠাৎই চাল, ডাল মজুত হতে শুরু করেছে? গরিব মানুষকে নিয়ে মজা করা হচ্ছে। ভাইপো বড় বড় করে দাগ কাটছেন। আর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর টাকায় ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বর্তমান সময়ে কোনো সরকার সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার দিক থেকে কার্পণ্য করবে, এই জিনিসটা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। প্রথমদিকে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কোনো সমালোচনা না হলেও, যত দিন যাচ্ছে, ততই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যেখানে মৃত্যুতে কারচুপি থেকে শুরু করে রেশনে চাল, ডাল বিলি সহ লকডাউন ভাঙ্গা নিয়ে তৃণমূলের সরকার কার্যত বিরোধীদের চাপের মুখে কোণঠাসা, এই পরিস্থিতিতে হুগলির বিজেপি সাংসদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এই কটাক্ষ এখন তৃণমূলকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -