এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বন্ধ হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প! মাথায় হাত প্রশাসনের!

বন্ধ হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প! মাথায় হাত প্রশাসনের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্ষমতায় আসার পর নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী প্রকল্পের পাশাপাশি বর্ধমানে মিষ্টিহাবের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। যাকে নিয়ে আশার আলো তৈরি হয়েছিল বর্ধমানের পাশাপাশি গোটা রাজ্য জুড়ে। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের সেই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে। সূত্রের খবর, বর্ধমানের মিষ্টিহাবে খুব একটা লাভ না হওয়ায় এবার তা শক্তিগড়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2017 সালের 27 এপ্রিল আসানসোলের মঞ্চ থেকে এই মিষ্টিহাবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বর্ধমানের জাতীয় সড়কের ধারে মিষ্টিহাব তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। কেননা শক্তিগড়ে যেভাবে মিষ্টির বাড়বাড়ন্ত, তাতে সরকারের উদ্যোগে তৈরি এই মিষ্টি হাব সেভাবে লাভ দেখেনি। তবে বর্ধমানের এই মিষ্টিহাবকে চাঙ্গা করতে সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টার শেষ ছিল না।

গত বছর জানুয়ারি মাসে সপ্তাহখানেক ধরে এখানে মিষ্টি উৎসবের আয়োজন করা হয়। কিন্তু তাতেও সাফল্য মেলেনি। আর তাই অবশেষে বর্ধমানের এই জায়গা পরিবর্তন করে তা শক্তিগড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আইআইটি খড়্গপুর বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী। আর তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, মানুষের আকর্ষণের জন্য এবং ব্যবসা লাভদায়ক হওয়ার কারণে এই মিষ্টিহাবের স্থান বদল করা হবে। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে! এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী বলেন, “অনেক রকম ভাবে চেষ্টা করা হয়েছে, এই মিষ্টিহাবকে চাঙ্গা করতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শক্তিগড়ে যেখানে জাতীয় সড়কের দু’পাশে সারি সারি ল্যাংচার দোকান আছে, সেখানে এবার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প তৈরি হবে।” তবে জেলাশাসক একথা বললেও, এখন তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, তাহলে এত ঘটা করেই মিষ্টিহাবের জন্য বর্তমানে যে বিশাল বিল্ডিং করা হয়েছিল, তার কি হবে! অতীতে এত টাকা খরচ করে এখন সেখান থেকে এই মিষ্টি হারিয়ে নিয়ে যাবার আদৌ কোনো অর্থ আছে কি! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে অনেকেই।

একাংশ বলেছেন, যেখানে সরকারের ভাঁড়ারে অর্থশূন্য বলে দাবি করা হচ্ছে, সেখানে মিষ্টিহাবকে আবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া বিশাল অর্থের খরচ। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা কি করে সামাল দেবে সরকার, এখন এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে অনেকেই। সব মিলিয়ে এখন এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসন কি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!