এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > নির্বাচনে দেওয়া হচ্ছে ‘অসম্মানজনক’ কাজ, পঞ্চায়েতে বেঁকে বসছেন শিক্ষকরা

নির্বাচনে দেওয়া হচ্ছে ‘অসম্মানজনক’ কাজ, পঞ্চায়েতে বেঁকে বসছেন শিক্ষকরা

পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে শিক্ষকদের অসন্তোষজনক কাজ দেওয়ার জন্য ক্ষুব্ধ তারা।ক্ষোভ মূলত বিলিবন্টন নিয়ে।নজির মিলেছে বেশ কিছু যায়গায়।রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহ অধ্যাপক অমিত  রায়(৫৮ বছর),মেদিনীপুর কেডি কলেজ অব কমার্সের সহ অধ্যাপক বিবেকানন্দ মহাপাত্র  এদের মতো মান্যগন্য ব্যক্তিদের কাজ দিয়েছে চতুর্থ পোলিং এর।এছাড়াও দমদম মতিঝিল রবীন্দ্রমহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক, দঃ ২৪ পরগনার বেশ কিছু কলেজের শিক্ষকরাও একই কাজের জন্য ডাক পেয়েছেন।সোজা কথায় যেটা হল ভোটারের আঙুলে কালি দেওয়া কাজ।কোলকাতা একটি স্কুলের বয়স্ক শিক্ষক জানান যে আগে প্রায় সব নির্বাচনে তাকে প্রিসাইডিং অফিসারের কাজ দেওয়া হতো,যা ছিলো সন্মানের।আর এখন ভোটারদের আঙুলে কালির ছাপ দেওয়ার কাজ!!! অত্যন্ত অপমানজনক কাজ। তো তারা জন্য রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।জেলাশাসক,মহাকুমাশাসকের কাছে এ বিষয়ে সাহায্য চেয়ে লাভ হয়নি কিছু বলে অভিযোগও করা হয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

ওয়েবকুটা-র সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ জানান, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরদের বেতনহার রাজ্য সরকারের উপসচিবের পদের সমান এবং সেটা বিডিও-র থেকে বেশি। দেখা যাচ্ছে, অধ্যক্ষকে প্রিসাইডিং অফিসার, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরকে চতুর্থ পোলিং স্টাফের কাজ দেওয়া হয়েছে। ”যদি নির্বাচনে কাজ দেওয়া হয়, তা হলে ন্যূনতম দায়িত্ব হিসেবে এঁদের দিতে হবে ‘মাইক্রো অবজার্ভার’-এর কাজ। কিন্তু এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব বণ্টনে এ-সব নিয়ম মানা হয়নি,” বলে অভিযোগ শ্রুতিনাথবাবুর। কলেজের চুক্তি-ভিত্তিক বা আংশিক সময়ের শিক্ষকদের চতুর্থ পোলিং স্টাফের কাজ দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই সব শিক্ষক-পদ অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পদের সমতুল্য। এই বিষয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশনে প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছে ওয়েবকুটা।প্রতিবাদপত্র যে কতদূর ফলপ্রসূ হয়ে লড়তে পারবে মাননীয় শিক্ষকদের সম্মানার্থে তার পেছনে থেকেই যায় প্রশ্নচিহ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!