এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দ্বায়িত্ব পেয়েই আর এক সাংসদকে নিয়ে তৃণমূলের চাপ বাড়ালেন সৌমিত্র, জেনে নিন বিস্তারিত

দ্বায়িত্ব পেয়েই আর এক সাংসদকে নিয়ে তৃণমূলের চাপ বাড়ালেন সৌমিত্র, জেনে নিন বিস্তারিত


তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি সামলেছিলেন শাসকদলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ! তাঁর উদ্দেশ্যে তৃণমূলের ‘যুবরাজ’ জানিয়েছিলেন – দল আবর্জনা মুক্ত হল! এরকম সৌমিত্র খাঁ নাকি তৃণমূল এক রাত্রেই পাঁচ লক্ষ তৈরী করে নিতে পারে। কিন্তু, মুখে এ কথা বললেও, সৌমিত্র খাঁকে আটকানো তো দূরের কথা, তাঁর বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর আসনে সামান্যতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারে নি তৃণমূল কংগ্রেস।

আর সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে আরও গুরুদায়িত্ব দিলেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। তাঁকে এবার বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার শীর্ষে বসানো হল। আর দায়িত্ব পেয়েই সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছিলেন ২০২১-এর ভোট যুদ্ধে বিজেপিকে জয়ী করতে এক ইঞ্চিও জমি তৃণমূলকে ছাড়বে না তাঁর নেতৃত্বাধীন গেরুয়া শিবিরের যুব মোর্চা। আর এদিন ফের সেটাই বুঝিয়ে দিলেন সৌমিত্র।

বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূল কর্মী সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার কারণে মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলা বিজেপি সদস্য কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সন্ধ্যাবেলা উত্তর ২৪ পরগনার বকচড়া পারোইপাড়া এলাকায়। কিন্তু এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করে এদিন রাত সাড়ে বারোটা থেকে গাইঘাটা থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বনগাঁ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং বিষ্ণুপুরের সাংসদ বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর এদিন পারোইপাড়া এলাকায় রাজনৈতিক বচসার মধ্যস্থতা করার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য অপর্ণা মন্ডল সেখানে পৌঁছান। এরপর ওই বচসা মেটানোর দাবিতে থানায় গিয়ে অপর্ণা মন্ডল তার স্বামী উজ্জল মন্ডল এবং গাড়ির চালক সুজয় দাস‌ পুলিশের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। যে কারণে অপর্ণা মন্ডল সহ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি অনুযায়ী অপর্ণা মন্ডল এলাকার রাজনৈতিক বচসা মেটানোর জন্য এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ নিজেদের মতো গল্প সাজিয়ে তাদের আটক করে।

মহিলা পুলিশ ছাড়াই আটক করা হয় অপর্ণা মন্ডলকে এমনটাই দাবি স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। কার্যত তারা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসলে অপর্ণা মন্ডলকে ছেড়ে দেয়া হলেও বাকি দুই বিজেপি সমর্থককে ছাড়েনি পুলিশ। জানা গেছে এরপরই সৌমিত্র খাঁ এবং শান্তনু ঠাকুর ওই থানার সামনে রাত ভোর অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন।

জানা গেছে এদিন সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছেন অপর্ণা মন্ডলকে ছেড়ে দেওয়া গেলে একই অপরাধে বাকি দুজনকে ছাড়তে কি রকম আইনি বাধা রয়েছে তা জানাতে হবে। গাইঘাটা পুলিশ সূত্রের খবর এদিন কর্তব্যরত পুলিশের সাথে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করার জন্য ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপর্ণা দেবীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি দুজনকে গুরুতর কারণে আটক রাখা হয়েছে। এদিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি ইচ্ছাকৃত গন্ডগোল তৈরি করে তৃণমূলের কর্মীসমর্থকরা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। জানা গেছে তাদের দাবি তৃণমূলের কারসাজিতেই ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আর এই ঘটনার পর তৃণমূলের চাপ ক্রমশ বাড়ছে বলেই মত রাজনৈতিকমহলের।কেননা সৌমিত্র ঠিক তৃণমূলের ধাঁচেই মাঠে নেমেছেন তৃণমূলকে মাত দিতে।তাছাড়া এত ঘাটও তার বাধা। ফলে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলেও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!