মে মাসে নির্ধারিত , পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই শুরু হলো উত্তেজনা। মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া, ও বিরোধী প্রার্থীকে অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগও উঠলো শাসক দলের বিরুদ্ধে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই যদি উত্তেজনার পারদ এই উচ্চতায় থাকে তাহলে আগামী দিন গুলোর কথা ভেবে কার্যতই অস্বস্তিতে জেলা সহ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন। ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটায়। সোমবার সকালে সুতাহাটা ব্লকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতেই গোবিন্দপুর গ্রামের ২২ নং বুথের বিজেপি প্রার্থী সরস্বতী মালকে অপহরণ করা হয় বলে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এরপর প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে রাখার পরে তাঁর কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

একইসাথে, রাজনগর গ্রামের ৫২ ও ৫৩ নং বুথের গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র গুছাইতকেও মারধর করে ব্লক অফিস থেকে বের করে দেওয়ার মতো ঘটনায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কে কেন্দ্র করে জেলার অন্য আরেকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে হলদিয়াতে। সেখানে অভিযোগ উঠেছে হলদিয়া বিধানসভার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে শাসক দলের পোষ্য কিছু গুন্ডা তাঁদের সাথে অভব্য আচরণ করে। এই নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। তাপসীদেবীর অভিযোগ, সকাল থেকেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসার পথে বহিরাগতরা বিরোধী দলের প্রার্থী এবং কর্মীদের ধরে ধরে হুমকি দিতে শুরু করে।বিজেপি-র তরফে অভিযোগ করা হয়, সুতাহাটা ব্লকের পঞ্চায়েত অফিসে যেখানে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে, সেখানে অহেতুক শাসক দলের সমর্থকরা লাইন তৈরি করে রাখছেন। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দেওয়ার ফর্ম তুলতে গেলেই তাঁদের লাইনের পিছনে দাঁড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকী মারধর করে বের করে ও দেওয়া হয়। শুধু এই নয় এরপরে বিজেপি-র জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস ঘটনাস্থলে গেলে তৃণমূল সমর্থকরা অফিসের বাইরে বের করে এনে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি সমস্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলো পুলিশ বলেও বিজেপি অভিযোগ করেছে। এত অভিযোগের পরেও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।