এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি-তৃণমূলের চিন্তা বাড়িয়ে বিজয় উত্‍সব পালন মিলিয়ে দিলো কংগ্রেসের অন্দরের দূরত্ত্ব

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি-তৃণমূলের চিন্তা বাড়িয়ে বিজয় উত্‍সব পালন মিলিয়ে দিলো কংগ্রেসের অন্দরের দূরত্ত্ব

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ের মত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের এই অভাবনীয় সাফল্যে উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়েছে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে। গোটা দেশে তো বটেই এই রাজ্যের কংগ্রেস নেতা কর্মীদের মধ্যেও সেই উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়েছে।

আর তাই এদিন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে রানি রাসমনি রোডে বিজয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই দেখে গেলো ঐক্যবদ্ধ কংগ্রেসের ছবি। মঞ্চে একসাথে দেখা গেলো পাশাপাশি সোমেন মিত্র, অধীর চৌধুরি , দীপা দাসমুন্সি, আবু হাসেম খান চৌধুরী, মৌসম নুর, দেবপ্রসাদ রায়, আব্দুল মান্নান,দীপা দাসমুন্সি প্রমুখ নেতাদের।
আর এতে চিন্তা বাড়লো তৃণমূল ও বিজেপির বলে মত রাজনৈতিকমহলের।

তৃণমূলের চিন্তার কারণ হিসাবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত হলো রাজ্যে মূলত লড়াই চলছিল বিজেপি আর তৃণমূলের। সেখানে সিপিআইএম ও কংগ্রেস মূলত সাইনবোর্ডে পড়ন্ত হয়েছিল। তাই বিজেপিকে আটকালেই কেল্লা ফলে বলে মনে করেছিল তৃণমূল। সাথেই কংগ্রেস এর এই অবস্থায় তাদের নেতাদের দলে টানাটাও অনেক সহজ হচ্ছিলো। কিন্তু কংগ্রেসের এই বিপুল জয়ে মোর ঘুরে গেছে।

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ের মত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে কংগ্রেসের এই ফলাফলে পায়ের তলার মাটি হারানো কংগ্রেসের বঙ্গ ব্রিগেড উজ্জীবিত হয়েছেন । চাঙ্গা হয়েছেন দলের নেতা কর্মীরাও। ফলে এই রাজ্যেও আশার এল দেখছেন তাঁরা। আর তাই দল বদলে কতটা আগ্রহ দেখবেন এই রাজ্যের কংগ্রেস নেতা কর্মীরা তা এখন চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে তৃণমূলের কাছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

শুধু এই দিকটাই নয়, সাথেই কংগ্রেস খারাপ ফল করলে সোনিয়া বা রাহুল গান্ধীকে বুঝিয়ে এই রাজ্যেও কংগ্রেসের সাথে জোট করা সহজ হতো। যদিও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে তাঁরা একই ৪২ সে ৪২ টি আসন দখল করবেন। কিন্তু অন্য রাজ্যের এই জয়ে যদি কংগ্রেস এখানেও কিছুটা চাঙ্গা হয় আর ভোট কাটে তবে বিপদে পড়তে পারে তৃণমূল তাই জোটে হলে লাভ বই ক্ষতি হতো না। কিন্তু তাতেও বাদ সাধছেন বঙ্গের কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা এদিনের সাফল্যে এতটাই চাঙ্গা যে পরিষ্কার ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা একাই লড়বেন।

অন্যদিকে, একই চিন্তা গেরুয়া শিবিরেরও। কেননা গেরুয়া শিবির খুব আশা করেছিল এতদিন যে সভাপতি পদ হারিয়ে এবার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন অধীর চৌধুরী। তার কারণ অবশ্যই সোমেন গোষ্ঠীর সাথে তাঁর মনোমালিন্য। কিন্তু এদিনের এই চিত্র দেখে কার্যত হতাশ গেরুয়া শিবির, দলবদলের চিন্তা কি আর কেউ করবেন কংগ্রেস শিবিরের ?

তৃণমূলের পাশাপাশি এই চিন্তা বিজেপির ও। সাথেই ভোট কাটার চিন্তাও ওপিছু ছাড়ছে না। ফলে ২০১৯ এ বাংলায় ভোটের লড়াই জমজমাট হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!