এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল যুব তৃণমূল কর্মীদের! চূড়ান্ত ডামাডোল

হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল যুব তৃণমূল কর্মীদের! চূড়ান্ত ডামাডোল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে ভাঙ্গড়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন দলকে শৃংখলাবদ্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে শাসকদল, তখন ফের তৃণমূলের অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। সূত্রের খবর এদিন ভাঙ্গড় থানার সামনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে যুব তৃনমূলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরবর্তীতে তারা একটি মিছিল করেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গড় 1 ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি বাদল মোল্লা, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, তৃণমূল নেতা আয়নাল মোল্লা সহ অন্যান্যরা। হঠাৎ করেই কেন তৃণমূলের কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে যুব তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ নেমে পড়লেন?

এখন তা নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। গোষ্ঠী কোন্দল যে কারণেই হোক তা যেভাবে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে, তাতে শাসক দলের শৃঙ্খলা নিয়ে জনমানসে ব্যাপক প্রশ্ন উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যায়, গত মে মাসে ভাঙ্গড় 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাইজার আহমেদের নেতৃত্বে ভাঙ্গড়ের গোবিন্দপুরে যুব তৃণমূল সভাপতি বাদল মোল্লা, আয়নাল মোল্লা সহ অনেকের উপরে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপরেই কাইজার আহমেদ সহ বেশকিছু তৃণমূল নেতার নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু সেই ঘটনার পর এলাকাছাড়া কাইজার আহমেদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে কিছুদিন আগে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায় তাকে। যেখানে শান্তির বার্তা দিয়ে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান এই তৃণমূল নেতা। আর এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, পুলিশের চোখে অভিযুক্ত হলেও তিনি প্রকাশ্যে এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, অথচ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না! যে ঘটনার প্রতিবাদে এদিন কাইজার আহমেদকে গ্রেফতারের দাবিতে যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করা হল বলে দাবি দলের একাংশের।

কিন্তু এই গোটা ঘটনা নিয়ে তো দলীয় স্তরে আলোচনা করাই যেত! সেক্ষেত্রে প্রকাশ্যে এভাবে থানায় প্রতিবাদ করলে একদিকে তাদের গোষ্ঠী কোন্দল যেমন প্রকাশ্যে চলে আসবে, ঠিক তেমনই শাসক দলের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালিত প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। সে দিক থেকে তো আরও চাপে পড়বে শাসকদল!

এদিন এই প্রসঙ্গে ভাঙ্গড় 1 ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি বাদল মোল্লা বলেন, “আমাকে প্রাণে মারতে সেদিন ওরা বোমা মেরেছিল। বরাতজোরে কোনো রকমে বেঁচে ফিরেছি। এখনও ঠিক মত চলাফেরা করতে পারি না। আবারও এলাকা অশান্ত করতে নতুন করে পরিকল্পনা করছেন কাইজার।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে তৃণমূলের অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে উঠবে। যদি অবিলম্বে শাসক দল এই গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে নির্বাচনের মুখে আরও সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে ঘাসফুল শিবিরকে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!