এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর পর রাজীবকে এবার নিশানা তৃণমূল নেতৃত্বের, সম্পর্কের ইতি কি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই ?

শুভেন্দুর পর রাজীবকে এবার নিশানা তৃণমূল নেতৃত্বের, সম্পর্কের ইতি কি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই ?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, যেকোনো সময় তিনি দল ছেড়ে দিতে পারেন, এমন একটা আশঙ্কা রয়েছে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের। শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি দলের বিরুদ্ধে বেসুরো গেয়ে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল শ্রী রামকৃষ্ণের জন্মভূমি হুগলি জেলার কামারপুকুরে গিয়েছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানে এক অরাজনৈতিক সভা মঞ্চ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছেন যে, যত মত তত পথ। তাই এক জায়গায় যদি অসুবিধা হয়, তবে অন্য পথের কথা ভাবা যেতেই পারে। গতকাল তাঁর এই ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়ে তুলেছে রাজ্যের রাজনীতিতে। যদিও কোন পথে তিনি যাবেন তা পরিষ্কার করে বলেন নি তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে চাপানউতোর শুরু হলো শাসকদল তৃণমূলে।

গতকাল বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এই বক্তব্য রাখার পরেই শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য শুরু হলো। তাঁদেরকে কটাক্ষ করতে শুরু করলেন তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা-নেত্রী। দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ একটি ফেসবুক পোস্ট করে বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাঙ্গাত্মক ইঙ্গিত করেছেন। এই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ” হয় জল (সেচ) অথবা জঙ্গলে (বন), না হলে পদ্মফুলে। যত মত তত পথ। ”

প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রাজ্যের সেচ দপ্তরের দায়িত্ব ছিল। বর্তমানে তিনি বনমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেই আজ দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। উদয়ন গুহ বোঝাতে চাইছেন যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন পথ বলতে বিজেপির দিকে যেতে চান। এ কারণেই পদ্ম ফুলের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন উদয়ন বাবু।

আপনার মতামত জানান -

বিধায়ক উদয়ন গুহর এই ফেসবুক পোস্টের পর তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার সরাসরি নাম না নিয়েও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি জানিয়েছেন যে, অনেক টাকা সঙ্গে থাকলেই এত পোস্টার ছাপানো সম্ভব। তাঁদের তো এত টাকা নেই। যারা একসঙ্গে অন্য কাজে লিপ্ত আছেন আর ভাবছেন দল তাঁদের ছাড়া চলবে না, তাঁরা ভুল করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, দুজন ভুঁইফোড় নেতা কি বলে গেলেন? তাতে কিছু আসে যায় না দলের। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে কেউ কিছুই করতে পারবেন না।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও আজ ফেসবুক পোস্টে সরাসরি নাম না নিয়েও কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি লিখেছেন যে, দু, একজন মন্ত্রী খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে উঠেছেন। যাঁরা সমস্ত ক্ষমতা নিজেদের হাতে ধরে রাখতে চান। এভাবে তৃণমূল নেতা নেত্রীরা সরাসরি নাম না নিয়েও কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূল ছেড়ে দিচ্ছেন, তা অনেকটাই নিশ্চিত। কিন্তু বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কি করবেন? তা এখনও তিনি স্পষ্ট ভাবে জানেন নি। অনেকে মনে করছেন যে, তাঁকে এভাবে তীর্যক আক্রমণ করে তাঁর ওপরে চাপ বৃদ্ধি করতে চাইছেন দলের নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে একাধিক কটাক্ষ করার পর তিনি কিন্তু চাপের কাছে মাথা নত করেননি, উল্টে দলের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে তাঁর। তাই এভাবে চাপ বৃদ্ধি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে সম্পর্কের দ্রুত ইতি টানার দিকে নির্দেশ করছে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!