এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এনআরসি এফেক্ট কাটিয়ে আসামে কি ঘুড়ে দাঁড়াতে পারল গেরুয়া শিবির? কি বলছে পঞ্চায়েতের ফলাফল?

এনআরসি এফেক্ট কাটিয়ে আসামে কি ঘুড়ে দাঁড়াতে পারল গেরুয়া শিবির? কি বলছে পঞ্চায়েতের ফলাফল?


গো-বলয়ে কংগ্রেসের কাছে রাজ্যপাট হারানোর পর আসামের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি ফল হয় গেরুয়া শিবিরের সেই দিকেই নজর ছিল – সারা দেশের। কেননা, এনআরসি ইস্যুতে তুলকালাম কান্ড চলছে আসামে। তার মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি দল গিয়ে সেখানে ‘বাঙালি খেদাও অভিযান’ চলছে বলে বাঙালি ‘সেন্টিমেন্টে’ ঝড় তুলে দিয়েছে।

এর উপরে আছে, দীর্ঘদিনের সঙ্গী অসম গণ পরিষদের জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে একলা নির্বাচন লড়া, ফলে ভোট কাটাকাটিতে ক্ষমতা হারানোর ভয়। আর তাই, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর কঠিনতম গ্রামীণ নির্বাচনের মুখোমুখি গেরুয়া বাহিনী। স্বাভাবিকভাবেই, এখানে ভরাডুবি মানে লোকসভা নির্বাচনের আগে রীতিমত রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।

এই সব পরিপ্রেক্ষিতেই, আসামে পঞ্চায়েতের ভোট গণনা শুরু হতে দেখা গেল – প্রত্যাশিত পথেই উত্থান ঘটেছে অসম গণ পরিষদের। এমনকি, হারানো জমি অনেকটা পুনরূদ্ধার করেছে কংগ্রেস। কিন্তু, এনআরসির জন্য যেভাবে গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাঙ্কে ধ্বস নামার কথা ভাবা হচ্ছিল – তা কিন্তু হয় নি। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের কাছে স্পষ্ট বার্তা – শরিক অগপকে বাদ দিয়ে নয়, লোকসভায় পূর্ন সম্মান দিয়ে জোট করেই লড়তে হবে।

সূত্রের খবর, ত্রিমুখী লড়াইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে বেশ ভালো ফল বিজেপির। বহু আসন শরিক অগপর কাছে হারালেও এবং ভোট কাটাকাটিতে কংগ্রেস অনেকটা ভালো ফল করলেও – জেলা পরিষদে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি আসন বিজেপিরই। প্রকাশিত ফলাফলের মধ্যে, ১০৭ টি আসনে জিতেছে বিজেপি। কংগ্রেস একটু পিছিয়ে, তাদের দখলে ৯৯ টি। তার একটু পিছনে, অসম গণ পরিষদের – এগিয়ে রয়েছে ৭৭ টি আসনে।

গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও এই ত্রিমুখী লড়াইটা বেশ স্পষ্ট। বিজেপির দখলে এখনও পর্যন্ত গিয়েছে ৬২০ টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৫১৫ টি আসন এবং অসম গণ পরিষদ পেয়েছে ৩০৪ টি আসন। তবে, গণনা এখনও শেষ হয় নি – আজ দুপুরের মধ্যে পুরো চিত্রটা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল – একের পর এক হেভিওয়েট মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক-নেতা নিয়ে গিয়ে রীতিমত তারকা প্রচার করলেও, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাপ্তি এই রাজ্যে শূন্যই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!