এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জেল হেফাজতেই মৃত্যু বিজেপি-কর্মীর! ‘মিথ্যা মামলায়’ গ্রেপ্তার করে অমানুষিক অত্যাচারের অভিযোগ

জেল হেফাজতেই মৃত্যু বিজেপি-কর্মীর! ‘মিথ্যা মামলায়’ গ্রেপ্তার করে অমানুষিক অত্যাচারের অভিযোগ


দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিরোধী দল বিজেপি অভিযোগ করছে যে, তাদের দলের কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে অমানষিক অত্যাচার করছে রাজ্য। তবে বিরোধী দল বিজেপির সেই অভিযোগকে সবসময়ই খন্ডন করেছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা।

কিন্তু এবার বিজেপির সেই অভিযোগকে সত্যি করে মঙ্গলবার জেল হেফাজতে থাকা এক বিজেপি কর্মীর জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে মৃত্যু হল। সূত্রের খবর, প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শিকারপুরের বাসিন্দা গোপাল দাস(৪২) নামে ওই বিজেপি কর্মীকে। তবে তার পরিবারের দাবি যে, জেল প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই গোপাল দাসের মৃত্যু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা। এদিকে মৃত্যুর পরও দীর্ঘক্ষণ সেই মৃতদেহ না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এদিন এই প্রসঙ্গে মৃতের স্ত্রী শুক্লা দাস বলেন, “জেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই মারা গিয়েছে আমার স্বামী। তার উপর জেলে অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুতে সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা মাধবী রায় বলেন, “মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় গোপাল দাসকে। সুস্থ গোপালবাবুর মৃত্যুর কারণ নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। সকালে মারা গেলেও ছয়টা অবধি মৃতদেহ দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার প্রতিবাদে এদিন মৃতদেহ নিইনি আমরা। বুধবার গোপালবাবুর মৃত্যুর জন্য দায়ী কারাকর্মীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করা হবে জলপাইগুড়ি শহরে।”

এদিকে এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি কোতায়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় রায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, “মৃত্যুর বিষয়টি হাসপাতালের তরফে পুলিসকে জানানো হয়েছে। পুলিস মর্গে নিয়ে গিয়ে দেহের ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের হাতে তুলে দেবে।” জানা যায়, মৃতের ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিবেশীর মারামারি হয়। আর সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগেই গত ১৪ আগস্ট রাজগঞ্জ থানার পুলিস গোপালবাবুকে গ্রেপ্তার করে।

দীর্ঘদিন ধরে তাকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রাখা হলে সোমবার রাতে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে জেল কর্তৃপক্ষ। আইসিসিইউতে রেফার করা হলে এদিন সকালেই সেখানে মারা যান এই বিজেপি কর্মী। আর বিজেপি কর্মীর এই মৃত্যুতে তার শোকসন্তপ্ত পরিবার এবার জেল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করতে শুরু করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!