এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বিতর্কিত ভিডিও নিয়ে অনুব্রত মন্ডলের ‘জবাব’ এল ২৪ ঘন্টার মধ্যেই – জানুন বিস্তারিত

বিতর্কিত ভিডিও নিয়ে অনুব্রত মন্ডলের ‘জবাব’ এল ২৪ ঘন্টার মধ্যেই – জানুন বিস্তারিত


বঙ্গ-রাজনীতিতে বরাবরের মত আবারো সংবাদ শিরোনামে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। আর এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খন্ডনে মুখ খুললেন তিনি। সূত্রের খবর, গতকালই বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বৈঠকের একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় সোশ্যাল সাইটে।

যেখানে দেখা যায় যে, জেলা কমিটির বৈঠকে অনুব্রত মন্ডল বলছেন, “ওই ফাইভ ম্যান কমিটি থেকে এক জনকে বাদ দিলাম না?… ওই ছেলেটাকে অ্যারেস্ট করিয়ে দে। আর ওই যে মেয়েটার কী নাম? মোটা করে মেয়েটা, কাপড়ের দোকান আছে।… সঙ্গীতা (কেউ মনে করিয়ে দেওয়ার পরে)। ও বিজেপি করে, ওকেও অ্যারেস্ট করিয়ে দে গাঁজা কেসে”!

এখানেই শেষ নয়, সেই ভিডিও ক্লিপে আরো দেখা যায়, এর পরেই অনুব্রত মন্ডলের পাশের আসনে বসে থাকা জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহকে তিনি বলেন, “আইসিকে ধর তো। বর্ধমানের এসপিকেও ফোন কর”। এবার জেলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত সামনের সারিতে থাকা নেতাদের উদ্দেশ্যে কার্যত প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে অনুব্রত মন্ডল বলেন, “ওদের কন্ট্রোল করতে পারবি কি? কন্ট্রোল করতে পারলে বল, না হলে অ্যারেস্ট করিয়ে দেবো। কে আছিস রে? পারবি কন্ট্রোল করতে”?

ভিডিওতে দেখা গেছে, জেলা সভাপতির এহেন প্রশ্নের উত্তরে ইতিবাচক সাড়া পেলেও অনেকে বলেন, ‘চেষ্টা করব’। যার ফলে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বীরভূমের কেষ্ট – তিনি বলেন, ‘ও সব চেষ্টা চলবে না। হ্যাঁ কি না সেই উত্তর চাই’। আর এই ভিডিও সংবাদমাধ্যমের হাতে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায় – যার জেরে ঝড় ওঠে রাজ্য-রাজনীতিতে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর তাই নিয়ে অবশেষে ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্টা পর আজ মুখ খুললেন অনুব্রত মন্ডল। এদিন তিনি বলেন, “আউশগ্রামে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় নামে আমাদের এক কর্মী খুনে জয়দেব মণ্ডলের নাম উঠে এসেছিল। হয়ত জেলও খেটে এসেছে। এখন তারা গাঁজার ব্যবসা করছে। তাই তাদেরকেই গ্রেফতার করানোর কথা বলেছি”। কিন্তু সে তো না হয় জয়দেব মন্ডল দোষী! কিন্তু সঙ্গীতা চক্রবর্তী তো কোনো খুনও করেননি আর গাঁজার ব্যবসার সাথেও যুক্ত নন, তাহলে সেই সঙ্গীতা দেবীকে কেন গাঁজা কেসে গ্রেফতার করার কথা বললেন অনুব্রত মন্ডল?

এ প্রসঙ্গে এদিন বীরভূমের তৃনমূল সভাপতি বলেন, ‘কে সঙ্গীতা? কোনও সঙ্গীতা-ফঙ্গিতাকে চিনি না’। তবে শুধু অনুব্রত মন্ডলই নয়, এই ভিডিওকে এর আগে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। সোমবার সেই অভিজিৎবাবুর কথাতেই শিলমোহর দিয়ে অনুব্রত মন্ডল বলেন, “রানা (অভিজিৎ সিংহ) তো ঠিকই বলেছে। দলীয় বৈঠকের ভিডিও বাইরে যখন গেছে, তখনই বুঝতে হবে ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ সেটা করেনি। আর উদ্দেশ্য যদি খারাপ থাকে, তাহলে ভিডিয়োর মধ্যে মুখে কথা বসিয়ে নিতেও পারে”!

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ভিডিওর পরে অনুব্রত মন্ডল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন ঠিকই – কিন্তু তৃনমূলের বৈঠক থেকে কেন নির্দিষ্ট কাউকে গ্রেপ্তারের ফরমান জারি হবে? তাহলে কি অনুব্রত মন্ডলের নির্দেশ ছাড়া বীরভূমের পুলিশ প্রশাসন অচল? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে, অনুব্রতবাবুর আজকের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে বিরোধীদের বক্তব্য, অনুব্রতবাবুর মুখে যদি কেউ কথা বসিয়েই থাকে তাতো ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করলেই প্রমান হয়ে যাবে। উনি যদি এইসব না বলে থাকেন, তাহলে উনি বা ওনার দল ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের পথে যাচ্ছেন না কেন?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!