এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > টিকিট না পেয়ে ‘অন্যদলে’ যেতে পারেন তৃণমূলের পদাধিকারীরা, সরগরম বাঁকুড়ার রাজনীতি

টিকিট না পেয়ে ‘অন্যদলে’ যেতে পারেন তৃণমূলের পদাধিকারীরা, সরগরম বাঁকুড়ার রাজনীতি

বাঁকুড়ার ইন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে  বিগত পাঁচ বছর ধরে পঞ্চায়েত সমিতির নানা পদের দায়িত্বভার সামলে  রাখা ১৩ জন তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় সদস্যকে মনোনীত করলো না দল। দলীয় সূত্রের খবর অনুযারী আসন সংরক্ষণের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য  ইন্দপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি প্রহ্লাদ বাউরি, সহ সভাপতি নিয়ে মোট ১৩ জন দলীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তবে নিয়মের ব্যতিক্রম হয়েছে শুধুমাত্র এলাকার দলীয় সদস্য  পম্পা বাউড়ি’র ক্ষেত্রে। পঞ্চায়েত সমিতির এই সদস্য ১০ নম্বর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্যে তিনি মনোনীত হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি অনুযারী পুরোনো গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণেই গতবারের বিজয়ী প্রার্থীদের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনীত করলো না দলের জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু ব্লক স্তরের নেতৃত্ব প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে জানালো রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আসন সংরক্ষণের জেরেই প্রার্থী মনোনীত করার ক্ষেত্রে এতো জলঘোলা হচ্ছে। তবে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এই প্রসঙ্গে বললেন, ”পাঁচ বছর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্বে থেকে এলাকায় প্রচুর কাজ করেছি। কিন্তু দল এবার আমাকে টিকিট দেয়নি। মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। প্রয়োজনে অন্য দলে যোগও দিতে পারি।” উল্লেখ্য শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে  ইন্দপুর পঞ্চায়েত সমিতির ২১টি আসনের মধ্যে ১৪টিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজয়ী ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে এবারে ১৩ জন প্রার্থীই দলীয় মনোনয়ন পেলেন না । পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সৌমিত্র পতি এদিন একপ্রকার আক্ষেপের সুরে বললেন, “দলের ব্লক সভাপতি তাঁর ইচ্ছেমত লোকজনকে প্রার্থী করেছেন। সংরক্ষণের গেঁড়ো থাকলেও কিছুটা অদলবদল করে পুরনোদের টিকিট দেওয়াই যেত।” অবশ্য তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি অসিত লায়েক বললেন, “দল পুরনো প্রার্থীদের টিকিট দিচ্ছে না এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। নিয়ম মেনেই সবটা হয়েছে। এটা কারও একার সিদ্ধান্ত নয়। দলে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!