আজকাল হজমের গোলমালে ভুগছেন? সাবধান! করোনা থাবা বসাতে পারে শরীরে! অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর শরীর-স্বাস্থ্য May 15, 2020 যত দিন যাচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা আরো কষ্টকর হয়ে উঠছে, হয়ে উঠছে আরও অসাধ্য। করোনা হচ্ছে এমন একটি রোগ যার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিষেধক নেই, কোনো ওষুধ নেই। শুধুমাত্র সচেতনতার অস্ত্র নিয়ে লড়াই চলছে এতদিন পর্যন্ত। তাও করোনার লক্ষণগুলি ফুটে উঠছিল এতদিন, যার ফলে চিকিৎসা করতে কিছুটা হলেও সুবিধা হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে লক্ষণবিহীন করোনা সংক্রমণ। আর তা নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ হচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য মহলের। এতদিন ধারণা ছিল জ্বর, সর্দি-কাশি বা নিঃশ্বাস নিতে কোন সমস্যা হলে তা করোনার নামান্তর। যেহেতু করোনা সার্স ভাইরাস তাই উক্ত লক্ষণগুলি করোনা হলে ফুটে ওঠাই স্বাভাবিক বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই ধারণা ভেঙে গিয়েছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, 10 জন রোগী করোনা আক্রান্ত হলে তাঁদের হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই গবেষণাটি গত তিন মাস ধরে চলছে বলে খবর। আরও জানা যাচ্ছে, ওই 10 জন রোগীর শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট যাবত কোন লক্ষণ নেই। পরবর্তীতে আরো 6500 জন রোগীর ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় 15 শতাংশের মধ্যে করোনার লক্ষণ হিসাবে হজমের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - 19% মানুষের শরীরে লিভার ফুলে গিয়েছে তবে 10% এর শরীরে জ্বর, কাশি বা সেরকম কোন উপসর্গ দেখা দেয়নি। তাই এবার ক্ষুধামন্দা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা এই সবগুলোই করোনার লক্ষণ হিসাবে ভাবা হচ্ছে। অন্য দিকে বেশ কিছু বিজ্ঞানী দাবি করছেন, কথাবার্তা থেকেও করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। প্রথম থেকেই বলা হয়েছে, ড্রপলেট এর মাধ্যমে এই রোগ সংক্রমণ ছড়ায়। সে ক্ষেত্রে যদি কোনো রোগী চেঁচিয়ে কথা বলেন, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই মিনিটে তখন হাজারটি ড্রপলেট বের হবে তাঁর মুখ থেকে এবং খুব সহজেই আক্রান্ত ব্যক্তি সংক্রমণ ছড়াবেন। সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আপাতত এই মুহূর্তে করোনা থেকে পরিত্রাণ পেতে চেষ্টা চলছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। প্রতিষেধক বা ওষুধ তৈরি করার ব্যাপারে বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে ধৈর্য ধরার আবেদন করছেন তাঁরা। বরং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাধারণ মানুষকে করোনার হাত থেকে নিস্তার পেতে অবশ্যই নিজেদেরকে সুস্থ রাখার কথা বলছেন। তাঁদের মতে শুধুমাত্র সাবধানতা ও সচেতনতার মাধ্যমেই এই মুহূর্তে সুস্থ থাকা সম্ভব। আপনার মতামত জানান -