এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অতিরিক্ত বেতন পেয়ে থাকলে তা ফেরত দিতে হবে 20 শে ডিসেম্বরের মধ্যে, শিক্ষক মহলে চাঞ্চল্য

অতিরিক্ত বেতন পেয়ে থাকলে তা ফেরত দিতে হবে 20 শে ডিসেম্বরের মধ্যে, শিক্ষক মহলে চাঞ্চল্য

যত দিন যাচ্ছে ততই যেন শিক্ষকদের একের পর এক আন্দোলনে টালমাটাল হয়ে উঠছে রাজ্য-রাজনীতি। একে দেখা নেই পিআরটি স্কেলের, তার উপরে বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে বেতন না পেয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের ঝড়ের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। এমনকী ক্রীড়াক্ষেত্রে চাঁদা বয়কটের ক্ষেত্রেও তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবারে নতুন এক সিদ্ধান্তে ফের চাঞ্চল্য তৈরি হল শিক্ষামহলে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি উত্তর 24 পরগনার বারাকপুরের ডিআই অফিস থেকে এক নির্দেশ জারি করা হয়েছে যে, নতুন ভাবে নিয়োগপত্র পাওয়া এই পোস্ট গ্রেজুয়েট শিক্ষকরা প্রাথমিকভাবে 11,160 টাকা পে এবং 4,800 টাকা গ্রেড পে পাবেন। তবে এর থেকে বাড়তি কোনো অর্থ পেলেই সেই শিক্ষকদের তা 20 শে ডিসেম্বরের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এইখানেই তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে শুধু তাই নয়, কোনো সহকারি প্রধান শিক্ষক যদি কোনো স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তাহলে তাঁরাও বাড়তি কোনো আর্থিক সুবিধা পাবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যদিও বা তাঁরা কোন বাড়তি অর্থ পান তাহলে সেটাও তাঁদেরকে ফেরত দিতে হবে।

তবে রাজ্যের এহেন সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছেন কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার এন্ড হেডমিস্ট্রেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস। এদিন তিনি বলেন, “যতদিন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ দুটি আলাদা থাকছে, ততদিন রোপা 2009 অনুযায়ী বাড়তি 100 টাকা গ্রেড পে হিসেবে দিতে হবে।”

এদিকে বাড়তি বেতন এবং গ্রেড পে নিয়ে যখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষা মহলে, ঠিক তখনই একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে শিক্ষক নিয়োগেও বেশকিছু বিভ্রান্তিতে পড়েছে এরাজ্য। কিন্তু ঠিক কি কি বিভ্রান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে? বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, জেনারেল ক্যাটাগরিতে গনিতের এক পার্থী ওয়েটিং লিস্টে অনেক নিচে থাকলেও সংশোধিত তালিকায় তিনি বেশ ভালোভাবেই জায়গা করে নিয়েছেন।

একই জিনিস দেখা গেছে বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের এক প্রার্থীর ক্ষেত্রেও। আগামী 10 ডিসেম্বর তাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে কেন এই বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে! তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না কেউই। সব মিলিয়ে একের পর এক ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা মহলে। আর এইসব সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ বা উস্থি ইউনাইটেডের মত শিক্ষক সংগঠন ও মইদুল ইসলাম, পৃথা বিশ্বাস, সন্দীপ ঘোষ, শাশ্বত ঘোষ, বেলা সাহার মত সেইসব সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্ত্ব একের পর এক ‘নৈতিক ও ন্যায্য’ আন্দোলন করে ঘুম ওড়াচ্ছে রাজ্য সরকারের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!