এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অধিকারী ভাতৃদ্বয়ের দ্বিমুখী আক্রমণ সামলাতে কি পারবে তৃণমূল? তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

অধিকারী ভাতৃদ্বয়ের দ্বিমুখী আক্রমণ সামলাতে কি পারবে তৃণমূল? তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে প্রথম থেকেই বিরোধিতা শুরু হয় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পরে অবশ্য প্রশান্ত কিশোর যোগ হয় বিরোধিতার তালিকায়। বিরোধিতার প্রাবল্য এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যেখান থেকে শুভেন্দু অধিকারী একুশ বছরের পুরোনো দল তৃণমূল ত্যাগ করেন। যোগ দেন তিনি গেরুয়া শিবিরে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির মার্কশিটে যা এক্সট্রা নাম্বার যোগ করলো বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এবার সৌমেন্দু আসতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, জোড়া আক্রমণ সামলাতে পারবে তো শাসক দল?

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েই সরাসরি আক্রমণ শুরু করেন তৃণমূল যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রথম দিন থেকেই শুভেন্দু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজ বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে তোলাবাজ ভাইপোর পাল্টা তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবী করেন তাঁর তোলাবাজির প্রমাণের। কিন্তু তাতে শুভেন্দু অধিকারীকে মোটেই ব্যাকফুটে নেওয়া যায়না। তিনি বরং পাল্টা এগিয়ে এসে নন্দীগ্রামের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন।

মঙ্গলবার শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের অরাজনৈতিক র‍্যালিতে হামলার প্রতিবাদে আজ সেখানে ছিল বিজেপির প্রতিবাদ সভা। আর এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবারও চাঁচাছোলা ভাষায় শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি সম্প্রতি গরু পাচার কাণ্ডে বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং বলেন এবার আর এক পা এগোলেই ভাইপো জালে পড়বে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভালো ভাবে নেওয়া হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সৌগত রায় শুভেন্দু অধিকারীকে উল্লেখ করে পাল্টা প্রশ্ন করেন শুভেন্দু সিবিআই এর মুখপাত্র কি না তা নিয়ে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীরকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে বিতাড়িত করা হলে অধিকারী পরিবারের সাথে রাজ্যের শাসকদলের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। এদিকে সৌমেন্দু কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালতও কিন্তু তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে সৌমেন্দুকে তৃণমূল ধরে রাখতে পারেনি।  সৌমেন্দু দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন।

সবমিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথমভাগ যদি দিলীপ ঘোষ বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই হয়, ঠিক সেরকমই দ্বিতীয়ভাগ শুভেন্দু অধিকারী বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই দেখতে চলেছে বাংলা। এবং বাংলার মসনদ দখল এর ক্ষেত্রে এই লড়াই যে আরও জোরদার হতে চলেছে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই বলেই মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা। অন্যদিকে অধিকারী পরিবারে পদ্ম ফুটিয়ে ছাড়লেন শুভেন্দু। এবার দেখার আপাতত অধিকারী পরিবারের দ্বিমুখী আক্রমণ কিভাবে সামলায় রাজ্যের শাসকদল!

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!