এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হতে পারে জনজীবন! সামনে এল বিশেষ সতর্কতা!

আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হতে পারে জনজীবন! সামনে এল বিশেষ সতর্কতা!


কথায় বলে, ‘একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর।’ কথাটা একটু পাল্টে নেওয়া যাক। একা করোনায় রক্ষা নেই, ঘূর্ণিঝড় দোসর।কথাটা শুনতে এত সহজ লাগলেও এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে রাজ্যের অবস্থা যে বেশ শোচনীয় হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যেখানে রাজ্যবাসী নাজেহাল অবস্থায় পৌঁছে গেছে, রাজ্য সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমত হাঁপিয়ে উঠছে ঠিক সেই অবস্থায় নতুন করে রাজ্য সরকারকে চিন্তান্বিত করে খবর এল ঘূর্ণিঝড়ের। প্রকৃতির রুদ্ররোষকে তো আর ঠেকানো যাবেনা। তাই সমস্ত রকম সর্তকতা নেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আমফান ধেয়ে আসছে। এই অবস্থায় দক্ষিণ-পূর্ব মহাসাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর আন্দামান সাগরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। আবহবিদদের সূত্র অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে বর্তমানে। দাবি করা হচ্ছে, এই নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হবে একটি শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ে। এবং শনিবার এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। এরপর রবিবার এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। তারপর যথারীতি সোমবার সেটি অভিমুখ পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বলা হচ্ছে, রবিবার পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনো প্রভাব পড়বে না এই রাজ্যে। কিন্তু সাবধানের মার নেই। আবহাওয়াবিদরা এখন থেকেই নজর রাখতে শুরু করেছেন এই নিম্নচাপ এর ভাবগতির ওপর। অন্যদিকে স্বাভাবিকভাবেই গরম বেড়েছে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 27.9 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে 1 ডিগ্রী বেশী। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 37.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে 2 ডিগ্রি বেশী। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক 91%। আপেক্ষিক আদ্রতা ন্যূনতম 35%। অন্যদিকে জানা গেছে, আগামী 16 ই মে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা।

বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় যদি ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয় রাজ্য, তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। কারণ সেই সময়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হবে না। ফলে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে আর সময় বেশি লাগবে না। তবে এরকম পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্য সদা সর্বদা প্রস্তুত বলে জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। আপাতত করোনা পরিস্থিতির সাথে সাথে নতুন করে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি যাতে না হয়, সে প্রার্থনাই কায়মনোবাক্যে চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!