এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > জমি দখল নিয়ে বোমা-গুলির তুমুল লড়াই মুর্শিদাবাদে, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে প্রাণ গেল এক নিরীহের

জমি দখল নিয়ে বোমা-গুলির তুমুল লড়াই মুর্শিদাবাদে, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে প্রাণ গেল এক নিরীহের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার জমির দখল নিয়ে গন্ডগোল এর জেরে নাম জড়াল শাসকদলের। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায় জমি দখল নিয়ে চলে বোমা গুলির লড়াই, আর সেই লড়াইতেই প্রাণ গেল নিরস্ত্র নিরীহ মানুষের। ঘটনায় যেমন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, ঠিক তেমনই শাসকদলের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার 13 নম্বর ওয়ার্ড ফিল্ড পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই 5 শতক জমি নিয়ে চলছিল দুইপক্ষের বিবাদ। আর সেই বিবাদই বিশাল আকার ধারণ করে বুধবার সকালে। প্রসঙ্গত জমির দখল নিয়ে বোমা গুলি চলায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।

জখম হয়েছেন আরো দুজন। জখমদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় উপস্থিত হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার 13 নম্বর ওয়ার্ড ফিল্ড পাড়াতে 5 শতক জমি ছিল ইমরান হোসেন নামে এক ব্যক্তির। অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরেই জমি মাফিয়া জাকিরের সঙ্গে হাত মেলায় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক বিপ্লবের ভাই আব্দুল বারিক। তাঁদের উদ্দেশ্য, ওই জমি আত্মসাৎ করা। জোর করে জমি দখলের চেষ্টাও তাঁরা করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে ইমরান হোসেন নিজের জমি পুনরুদ্ধারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন এবং মোকদ্দমায় তিনি জিতে ওই জমি আবার ফিরে পান। কিন্তু তার ফলে অশান্তি আরো বড়সড় আকার নেয়। বুধবার সকালে জাকির শেখ, আনারুল হক ইমরান হোসেনের বাড়িতে হাজির হয় বলে খবর। তাঁরা ইমরানের জমিতে জোর করে পাঁচিল দেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে তাঁরা ইমরানকে আঘাত করে। পরে এলাকায় সাতটি বোমা ফাটে এবং 5 রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক বিপ্লবের ভাই আব্দুল বারিক গুলি চালিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনায় ইমরান হোসেনসহ 3 জন গুলিবিদ্ধ হন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। সাথে সাথেই স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে জঙ্গীপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ইমরান হোসেনকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দুজন অর্থাৎ মোহাম্মদ সেলিম আনসারী এবং মোবাসসার শেখ – এই দুজনের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় রয়েছে চরম উত্তেজনা।

এলাকা পুরো থমথমে হয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে তদন্তের খাতিরে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পুলিশের হাতে অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি। এবং এই নিয়ে কিন্তু স্থানীয়দের মনে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকেই দাবি তুলেছেন, যেহেতু শাসক শিবিরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে অভিযুক্তের নাম তাই গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটলেও তাঁর গায়ে পুলিশ হাত দেয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে এই ঘটনার রেশ যে বহুদূর গড়াবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!