নারদা-সারদা থেকে করোনা-কাটমানি! শাসক তৃণমূলের 9 বছরকে 9 খোঁচায় বিধ্বস্ত করলেন বাবুল সুপ্রিয় কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য May 14, 2020 2011 সালের 13 মে। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর গোটা বাংলা সবুজ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ 34 বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তনমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভাল কাজের নজির যেমন সামনে এসেছে, ঠিক তেমনই অনেক বিতর্কিত ইস্যু জর্জরিত করেছে মা-মাটি-মানুষের সরকারকে। তবে তা সত্ত্বেও একের পর এক নির্বাচনে জয়লাভ করেছে তৃনমূল কংগ্রেস। গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। দেখতে দেখতে করোনা ভয়াবহতার মাঝেই আর একটা 13 মে পেরিয়ে গেল। ইতিমধ্যেই পরিবর্তনের এই নয় বছর উপলক্ষে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রচার করতে শুরু করেছেন। আগামী 2021 সালে বাংলার পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন। কি হবে সেই নির্বাচনে, তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। তবে তার আগে বর্তমানে একদিকে করোনা ভয়াবহতা, আর অন্যদিকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিরোধীদের চাপ, এখন কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকারকে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। শাসকদলের পক্ষ থেকে যখন নয় বছরে তাদের সাফল্য তুলে ধরার প্রচার চলছে, ঠিক তখনই আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূলের এই নয় বছরের নটি খোঁচা দিয়ে তাদেরকে বিধ্বস্ত করলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যার মধ্যে রয়েছে সারদা থেকে শুরু করে নারদার স্টিং অপারেশন। করোনায় তথ্য লুকানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ রাজনৈতিক হানাহানির মত ঘটনা। বস্তুত, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই সারদার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথেই রীতিমতো গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। আর এই সারদা চিটফান্ডের সঙ্গে অনেক নেতা, মন্ত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়ায় বেশ কিছু জনকে শ্রীঘরে পর্যন্ত যেতে হয়। যার পর থেকেই অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূল নেতাদের। তবে অস্বস্তি ঢাকতে না ঢাকতেই ঢাকতেই নারদা স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে চলে আসে। যেখানে তৃণমূলের অনেক নেতা মন্ত্রী-সাংসদকে প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা যায়। যা আরও বিতর্ক তৈরি করে। এছাড়াও বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের রাজনৈতিক সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কাটমানি খাওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের এই নয় বছর পূর্তিতে তাদের কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প রাজ্যে কেন চালু করতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করেছেন তিনি। আর সবশেষে তৃণমূলের এই নয় বছর পূর্তিতে ভয়াবহ করোনা মহামারী মোকাবিলায় তৃণমূল তথ্য চেপে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলের এই নয় বছর পূর্তিতে প্রথম ক্ষমতায় আসা থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত নানা অপ্রিয় ঘটনা তুলে ধরে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। অর্থাৎ বাবুল সুপ্রিয়র এই কথা থেকেই স্পষ্ট যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই সমস্ত ইস্যুকে নিয়েই আগামী দিনে বিজেপি যে প্রচারে নামতে চলেছে, তা এককথায় নিশ্চিত হয়ে গেল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের সাফল্যের কথা প্রচার করা হলেও, 9 বছর পূর্তিতে যেভাবে তৃণমূলকে নয় বানে বিদ্ধ করলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়, তাতে তৃণমূল পাল্টা কোনো রণকৌশল সাজায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -