এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনতেই দুষ্কৃতী হামলা শিক্ষিকার বাড়িতে

তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনতেই দুষ্কৃতী হামলা শিক্ষিকার বাড়িতে


করোনা ভাইরাসের সময় যখন সকলের নজর সেই ভাইরাসকে কিভাবে প্রতিহত করা যায় তার দিকে, ঠিক তখনই তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমাগত বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলা পরিষদের এক সদস্য তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা নূর হোসেন আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা করেছেন। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়ে উঠেছে গোটা কোচবিহার জেলা রাজনীতি।

গত 3 মে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সেই শিক্ষিকা দিনহাটা থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে তিনি বলেন যে, গত 26 অক্টোবর তাকে বাড়িতে একা পেয়ে সেই তৃণমূল নেতা ধর্ষণ করে। আর এর পরেই তার ছবি তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে। এমনকি কাউকে কথা জানালে তাকে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন সেই তৃণমূল নেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই অস্বস্তিতে পড়ে সেই তৃণমূল নেতাকে শোকজ করার কথা জানিয়ে দেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং কার্যকরী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। আর এই ঘটনা নিয়ে যখন গুঞ্জন চলছিল সারা কোচবিহার জেলা জুড়ে, ঠিক তখনই অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, যে শিক্ষিকা সেই তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে দিনহাটা থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা চলে।

যে ঘটনায় তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আর এতেই রীতিমতো অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে শাসকদলের। এদিন এই প্রসঙ্গে তার বাড়িতে হামলা নিয়ে সেই শিক্ষিকা বলেন, “থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা আমার বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। গেট বন্ধ থাকায় ভিতরে ঢুকতে পারেনি। তবে গালিগালাজ করেছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ কি সত্যি? এনিয়ে এখনও মুখ খোলেননি সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতা নূর হোসেন আলম। এদিকে এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমরা ওই নেতাকে আগেই শোকজ করে সাত দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছি। ওই উত্তর পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে রাতের এই ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানা নেই।” তবে পার্থবাবু যে কথাই বলুন না কেন, যদি শিক্ষিকার এই অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকে এবং তৃনমূল নেতা জড়িত থাকেন, তাহলে পরিস্থিতি তৃণমূলের বিপক্ষে চলে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!