এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নবান্ন সূত্রে মিলছে ইঙ্গিত,কেন্দ্রীয়হারে বেতন পাওয়া নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন সরকারী কর্মীরা

নবান্ন সূত্রে মিলছে ইঙ্গিত,কেন্দ্রীয়হারে বেতন পাওয়া নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন সরকারী কর্মীরা


এবারে রাজ্য সরকারী কর্মীরা দেখতে চলেছেন আশার আলো।সম্প্রতি রাজ্যের তরফে বেতন কমিশনকে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।আর এতেই চরম খুশির হাওয়া রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে।জানা গিয়েছে,বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের 25 শে নভেম্বর। তার আগেই রাজ্যের তরফে কমিশনকে বলা হয়েছে যে সুপারিশ পাঠানোর নির্দেশ দিলেই তা যেন নবান্নে পাঠায় কমিশন।অর্থ দফতর সূত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরকারী কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর কথা বলেছিলেন।আর তার পর থেকেই দুই কিস্তিতে 25 শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনাও শুরু করা হয়েছে।

সূত্র বলছে,বেতন কমিশন কার্যকর করতে 125 শতাংশ মহার্ঘভাতার প্রয়োজন।যেখানে 100 শতাংশ মহার্ঘভাতা পান রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা।এখানেই বিশিষ্টজনেদের মত,যদে বকেয়া 25 শতাংশ দেওয়ার কথা সত্যি হয় তাহলে কমিশনের দেওয়া সুপারিশ কার্যকর করতে আর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

এ বিষয়ে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনগুলি তাদের মতও ব্যক্ত করেছেন।তাদের দাবী,2016 সালে 1লা জানুয়ারী থেকে বেতন কমিশনের বর্ধিত বেতন চালু হওয়ার কথা থাকলেও আদতে তার কিছুই হয়নি।শুধু মূল বেতনের ওপর হিসাব হলে এই তিন বছরে একজন গ্রুপডি কর্মচারীর বকেয়া বেতনের পরিমানের অঙ্কটা হল 91 হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের ক্ষেত্রে  1লক্ষ 21 হাজার এবং আপার ডিভিশনের ক্ষেত্রে 1 লক্ষ 43 হাজার টাকার মত বকেয়া রয়েছে।সাথে যদি অন্তবর্তী বেতনবৃদ্ধি বিচার করা যায় তাহলে এই টাকার অঙ্কটা আরও বাড়বে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

প্রশাসন সূত্রে খবর,রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মত।তাই সেই অবস্থায় এই বিপুল বকেয়া অর্থ আদৌ দেওয়া সম্ভব নয়।এতেও কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি,বিগত পাঁচ বছরে কর্মীদের বেতন ও পেনশনে সরকারের যে টাকা সাশ্রয় হয়েছে তাতে প্রাপ্য বকেয়ার সিংহভাগই মিটিয়ে দিতে পারে সরকার।এখানে তথ্য তুলে ধরে তাদের আরও দাবী,2012-13 অর্থবর্ষ থেকে 2016-17 আর্থিক বছর পর্যন্ত বেতন ও পেনশন বাবদ  12 হাজার 300 কোটি টাকা পড়ে রয়েছে সরকারের অর্থ ভান্ডারে।

সূত্রে খবর,পুজোর আগেই বেতন কমিশনকে তাদের রিপোর্ট জমা করতে বলেছে নবান্ন।তবে তার আগে আগামী 5 ও 7 জুন মহার্ঘভাতা সংক্রান্ত মামলা নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি হতে চলেছে।যার দিকে তাকিয়ে প্রহর গুনছেন রাজ্যের সমস্ত সরকারী কর্মচারীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!