এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেড়ে নিয়েও ফেরাতে হল পদ! স্বমহিমায় অধিকারী পরিবারের হেভিওয়েট সদস্য! বিজেপি যোগের জল্পনায় ইতি?

কেড়ে নিয়েও ফেরাতে হল পদ! স্বমহিমায় অধিকারী পরিবারের হেভিওয়েট সদস্য! বিজেপি যোগের জল্পনায় ইতি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতিকালে তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব অনেকটাই কমতে শুরু করেছে বলে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। এমনকি পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ডানা অনেকটাই ছেটে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস বলেও দাবি করেছিল সমালোচক মহল। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে নিয়ে যখন তীব্র জল্পনা চলছে, ঠিক তখনই তার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি পরিচালিত হলদিয়া রিফাইনারি টাউনশিপ মেইনটেন্যান্স ইউনিয়নের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে জেলা জুড়ে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়।

যেখানে মেদিনীপুরে আধিপত্য বিস্তার করে এই অধিকারী পরিবার, সেখানে কি এমন হল যে দিব্যেন্দু অধিকারীর মত ব্যক্তিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল! তবে আবার সেই পদে ফিরে স্বমহিমায় দেখা গেল দিব্যেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু হঠাৎ করে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কেন! আবার তিনি পদে ফিরেই বা আসলেন কেন?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 19 আগস্ট তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সভায় অনেক সদস্য অভিযোগ করেন যে, দিব্যেন্দু অধিকারী কাথিতে বসে হলদিয়ার খবর রাখতে পারছেন না। এরপরই সেই সভা থেকেই দিব্যেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দিয়ে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি দেবপ্রসাদ মন্ডলকে সভাপতি করা হয়। এরপরই এই ঘটনাকে অবৈধ বলে দাবি করেন দিব্যেন্দুবাবু। এমনকি দেবপ্রসাদ মন্ডলকে প্রতারক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পরবর্তীতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলা জুড়ে। এমনকি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সভাপতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেজন্যই জেলা নেতৃত্ব ফের সভাপতি পদে দিব্যেন্দুকে পুনর্বহাল করেছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দেবপ্রসাদ মন্ডলকে।” এদিকে ফের নিজের পদে ফিরে এসে স্বাভাবিক ছন্দেই দেখা গেছে দিব্যেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, “আমি ওই সংগঠনের সভাপতি ছিলাম এবং আছি। তাই পুনর্বহালের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে!” তবে সংগঠনের কিছু সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেবপ্রসাদ মন্ডলকে সভাপতি করলেও এবার আবার যেভাবে দিব্যেন্দু অধিকারীকে সেই পদে নিয়ে আসা হল, তাতে দেবপ্রসাদবাবু অবশ্য উল্টো সুর গাইতে শুরু করেছেন।

এদিন তিনি বলেন, “আইএনটিটিইউসির নিয়ম নীতি এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংখ্যাগরিষ্টের মতে সভাপতি বদল হয়েছিল। রাজ্য নেতৃত্বকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে সভাপতি বদল নিয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।” আর এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দিব্যেন্দুবাবু আবার নিজের পদে বহাল থাকলেও যেভাবে দেবপ্রসাদবাবু এই ঘটনার বিরোধিতা শুরু করেছেন, তাতে তৃণমূলের অন্দরে এখন চরম সমস্যা তৈরি হতে পারে।

পূর্ব মেদিনীপুরের মত তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে যদি অধিকারী পরিবারকে নিয়ে এই সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে দল আগামীদিনে দল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব এই ব্যাপারে দ্বন্দ মেটাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!