এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের দুই মন্ত্রীর কোন্দলে এবার সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন বিজেপি নেতা, দিলেন মোক্ষম চাল

তৃণমূলের দুই মন্ত্রীর কোন্দলে এবার সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন বিজেপি নেতা, দিলেন মোক্ষম চাল


আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে আগেভাগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, আশঙ্কা করা হয়েছিল হতে পারে বড়সড় ক্ষতি, আর সেই আশঙ্কা সত্যি করে বাংলাকে লন্ডভন্ড করে দেয় আমফান। এখনও বিপর্যস্ত পরিস্থিতি কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবার জন্য আপ্রাণ প্রয়াস চালানো হলেও রাস্তায় বড় বড় গাছ পড়ে থাকায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও, এখনও পর্যন্ত সেভাবে অনেক এলাকাতে বিদ্যুৎ নেই।

যার জেরে বিরোধীদের পক্ষ থেকে পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুনতে হয়েছে এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সাধন পান্ডের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান প্রশাসক এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। পাল্টা দলীয় মন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও। তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেট মন্ত্রীর কোন্দল প্রকাশ্যে আসতেই জোর চাঞ্চল্য শুরু হয়েছিল রাজ্যে। তা মিটতে না মিটতেই এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ হানলেন।

এদিন তিনি টুইটারে লেখেন, আম্ফান-বিপর্যয়ে যখন সরকারের ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল, তখন রাজ্যের মন্ত্রীদের মধ্যকার কোন্দল তৃণমূলের শেষের শুরু ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে সরকারের মতপার্থক্যকে হাতিয়ার করেই প্রচারে ঝড় তুলতে নেমেছে বিজেপি।

সাথেই তিনি লেখেন, বাংলার মানুষের এবার তৃণমূলকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে। আর তৃণমূল নয়, আর মমতা নয়। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অবসান ঘটিয়ে নতুন বাংলা গড়তে হবে। রাহুলের এই টুইটে স্পষ্ট ইঙ্গিত, মিশন ২০২১-এ বাংলা গড়বে বিজেবি। বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হবে নতুন সরকার।

যদিও এই নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে রাজ্যকে সাহায্য করার পরিবর্তে তারা শুধুমাত্র রাজনীতি করার কাজে লেগেছে। বাংলাকে দলখল করার ঘুটি সাজাতে ব্যস্ত, সাধারণ অমানুষের দিকে কোনো নজর নেই তাদের। বাংলার জনগণের পাশে দাঁড়ানো, মানুষকে সাহায্য করার বদলে শুধুমন্ত্রী তৃণমূল সরকারের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এদিকে বিজেপির তরফ থেকে দাবি তারা সত্যিটা তুলে ধরছেন মন্ত্র। আর জনগণকে তারা সাহায্য করতে গেলে পুলিশকে দিয়ে তৃণমূল সরকার আটকে দিচ্ছে। তবে জনগণ সব জানে তারা ঠিক সময় জবাব দেবে।

রাজনৈতিকমহলের দাবি এই সুযোগকে ভালোভাবে কাজে লাগলো বিজেপি, মোক্ষম চাল দিলো গেরুয়াশিবির। কেননা যখন কোনো পরিস্থিতি খারাপ হয় তখন সবাই মাইল তা ঠিক করতে ঝাপটে হয় তবে এক্ষেত্রে তা হয়নি, তৃণমূয়েলের নেতারাও নিজেদের মধ্যে কোন্দল করে সবার সামনে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করলেন আর সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বিজেপি সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদেরকে আরো গ্রহণযোগ্য করার জন্য তুলে ধরলো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!