এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়াচ্ছেন অধীর চৌধুরী? জল্পনা চরমে

প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়াচ্ছেন অধীর চৌধুরী? জল্পনা চরমে


এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রবল বিজেপি ঝড়ের মধ্যেও তিনি নিজের আসল ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। মুর্শিদাবাদের বেতাজ বাদশা বলে পরিচিত প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আদ্যপ্রান্ত তৃণমূল বিরোধী বলেই পরিচিত। লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক তৃনমূলের শুভেন্দু অধিকারী অধীরবাবুকে হারাবার জন্য শপথ নিলেও বাস্তবে তার সেই আশা পূর্ণ হয়নি।

উল্টে 2014 সালের তৃণমূল বাংলা থেকে যত আসন পেয়েছিল, তার থেকে কম আসন পেয়ে শান্ত থাকতে হয়েছে তাদের। আর অধীর রঞ্জন চৌধুরীর যে বহরমপুর আসনটিকে পাখির চোখ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সেই বহরমপুর আসনে শেষ হাসি হেসেছেন কংগ্রেসের অধীর বাবুই। তবে কংগ্রেসের টিকিটে অধীর রঞ্জন চৌধুরী জয়লাভ করলেও লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই তার রাজনৈতিক গতি প্রকৃতির ওপর নজর রাখছিল গোটা রাজনৈতিক মহল।

দলবদলের হিড়িকে প্রবল তৃণমূল বিরোধী হওয়ায় তিনি কি এবার বিজেপিকে নাম লেখাবেন! তা নিয়ে রাজ্যে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। আর এরই মাঝে এবার গতকাল দলের সাংসদদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারা থাকলেও সেখানে অনুপস্থিত দেখা গেল সেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য থেকে 2 কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, অধীর চৌধুরী এবং এআইসিসির দুই পর্যবেক্ষক আসামের গৌরব গগৈ এবং বিহারের মহম্মদ জাভেদকে লোকসভা ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। তবে অধীরবাবুর পাশাপাশি এদিনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি বিহারের কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ জাভেদও। আর এতেই তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে কি অধীর রঞ্জন চৌধুরী দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন! তা নিয়েই এখন নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

এদিন এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “এবারের নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ে কোনো ব্যক্তিকে দায়ী না করা গেলেও প্রদেশের সভাপতি হিসেবে আমার ওপরই দায় বর্তায়। এবারের মত ধর্মের ভাগাভাগিতে ভোট আমি আগে কখনও দেখিনি। তৃণমূলের অত্যাচার আর দুর্নীতি থেকে রেহাই পেতেই মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। কংগ্রেস এবং বাম একত্রে এই বিকল্প দিতে পারলে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটাতে বিজেপি সফল হতে পারত না।” তবে বামেদের সাথে কংগ্রেসের জোটের ব্যাপারে আলোচনায় খামতি ছিল বলে কার্যত স্বীকার করে নেন গৌরব গগৈ।

তবে জনসংযোগ বাড়ানোই এখন দলের সংগঠন বৃদ্ধির একমাত্র উপায় বলে জানিয়ে দেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেসের অন্দরে নানা মুনির নানা মত থাকলেও এদিনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলা থেকে জয়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অনুপস্থিতি যেন রাজ্য, রাজা এবং রাজপাট থাকলেও রাজার মুকুট না থাকারই সামিল। আর তাই দলের এই দুর্দিনে একদিকে বিরোধী দলের তকমা যখন খোয়াতে বসেছে কংগ্রেস, ঠিক তখনই প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অনুপস্থিতি বিধান ভবনের নেতাদের অনেকটাই ভাবাচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!