মুখ্যমন্ত্রীর দাবি কতটা বাস্তবসম্মত জানতে নিজস্ব সমীক্ষার পথে রাজ্য বামফ্রন্ট কলকাতা বর্ধমান রাজ্য July 29, 2018 ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এরাজ্যে কৃষকরা যে সুরক্ষিত সে ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে দাবি করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার যেমন এনিয়ে নথি তৈরি করেছে তেমনি নিজেদের কৃষকদরদী বলে চাষিদের গড় আয় বাম জমানার থেকে তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে এই দাবিও করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের এই দাবি আদৌ কতটা সত্যি? তা জানতে লোকসভা ভোটের আগে মিটমিট করে জ্বলা সিপিএমের কৃষক সংগঠন প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। সিপিএমের এই কৃষক সংগঠন চাইছে, আগামী ৯ ই আগষ্টে রাজ্য জুড়ে কৃষক খেতমজুরদের নিয়ে “জেল ভরো” কর্মসূচীর আগে এই সমীক্ষা বের করে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে। সূত্রের খবর, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির এক অধ্যাপককে এই সমীক্ষা চালানোর এই দায়িত্ব দিয়েছে আলিমুদ্দিনের কৃষক সংগঠন। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে বিশিষ্ট এই অধ্যাপকের অধীনে একগুচ্ছ মেধাবী ছাত্রছাত্রী ও কৃষি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চালানো এই সমীক্ষায় পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের গলসি ব্লককে। এছাড়াও বর্ধমান জেলার অন্যান্য এলাকা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলী, দক্ষিন ২৪ পরগনা, বীরভূম, জলপাইগুড়ি, দক্ষিন দিনাজপুরের মত ১০ টি জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই সমীক্ষা চালানোর জন্য। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক সমীক্ষা অনুসারে সরকারের দাবিকে নস্যাৎ করে রিপোর্ট জমা পড়ায় কিছুটা উচ্ছসিত সিপিএমের কৃষকসভা। এনিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে পরবর্তী কালে জনস্বার্থ মামলা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্বরা। এদিন এই সমীক্ষা প্রসঙ্গে সিপিএমের কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ভিত্তিহীন। মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের বার্ষিক আয় ২০ হাজার বলে দাবি করলেও সংগঠনের এই সমীক্ষায় দেখা গেছে মাত্র ৭ হাজারের কাছাকাছি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মত কৃষকদের যায় তিনগুন না হওয়া ছাড়াও পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, দাম না পাওয়ায় কৃষক আত্মহত্যা সহ একগুচ্ছ কারনের ওপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা চালিয়ে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে কৃষকবিরোধী ইস্যুতে চেপে ধরে হারানো সংগঠন ফিরে পেতে মরিয়া সিপিএমের কৃষকসভা – এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন দেখার কৃষক আন্দোলনে ভর করে কতখানি ঘুরে দাঁড়াতে পারে ভেঙে পড়া বাম সংগঠন। আপনার মতামত জানান -