এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দেবীপক্ষের শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা, চিড়বিড় করে জ্বলছেন যুবরাজ! আক্রমনে বিজেপি !

দেবীপক্ষের শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা, চিড়বিড় করে জ্বলছেন যুবরাজ! আক্রমনে বিজেপি !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-দুর্নীতির দিক থেকে ভাইপোর ফেঁসে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাকে বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকছে, তার ঘনিষ্ঠদেরও ডেকে পাঠাচ্ছে। তাই এবার তিনি এমন এক জালে ফাঁসবেন, যখন তার শ্রীঘরে যাওয়া আর কেউ আটকাতে পারবে না। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলে বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারীও সেই ভাইপোকে নানা সময় নানা আক্রমণ করেন। কিন্তু মহালয়ার দিন একেবারে সাত সকালে এসেই ভাইপোকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই যে জবাব দিলেন বিরোধী দলনেতা, তা শুনে হাসি থামাতে পারছে না পদ্ম শিবির। প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী একটা লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলার রাজনীতিতে। তার একটাই টার্গেট, তৃণমূলের পিসি ভাইপোর ক্ষমতাকে রাজনৈতিক ভাবে তুলে ফেলে দেওয়া। সেই কারণেই তিনি উৎসবের মত দিনেও সেই ভাইপোকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে যে কথা বললেন, তাতে তৃণমূল বিরোধীরা প্রচন্ড খুশি। ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য তেমনটাই বলছে।

প্রসঙ্গত, মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনা হয়, পিতৃপক্ষের অবসান হয়। আর সেই দিনেই একটি শোভাযাত্রা কর্মসূচিতে যোগদান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সকাল সাড়ে ছটায় তিনি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হন। আর তারপরেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়া কর্মসূচি নিয়ে। আর তাতেই চাঁচাছোলা জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “সকালবেলা চোর ডাকাতের ব্যাপারে প্রশ্ন করবেন না। এতে মুড নষ্ট হয়ে যায়। একটা পাক্কা চোর।” তবে যারা মিনমিনে গলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তারা অবশ্য শুভেন্দু অধিকারী এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন। তারা বলতেই পারেন যে, দেবীপক্ষের সূচনাতেও কেন শুভেন্দু অধিকারী এই ধরনের কথা বলছেন? কিন্তু তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভয় পেলেও শুভেন্দু অধিকারী সেই পথে হাটেন না। তিনি জানেন যে, বহু মানুষ এই উৎসবের সময় কাঁদছেন। রাজ্যের যারা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, যারা প্রকৃত চাকরিপ্রার্থী, তারা রাস্তায় বসে রয়েছেন। যারা ডিএ পাচ্ছেন না, তারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। তাদের কাছে এই উৎসব অন্ধকারের মত। ফলে সেই মানুষগুলোর করুন আর্তনাদ শুভেন্দু অধিকারীর কাছেও কষ্টের। তাই সেই কষ্ট থেকেও তিনি যারা দুর্নীতির পাহাড়ে বসে রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন। আর বিরোধী দলনেতা হিসেবে সঠিক কাজটাই করছেন শুভেন্দুবাবু বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, যদি এতই সততার প্রতীক হবেন বাংলার যুবরাজ, তাহলে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন না কেন? তার আপ্ত সহায়ককে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার পরিবারের সদস্য, সদস্যাদেরও ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তারপরেও তার লজ্জা নেই। দুর্নীতির পাহাড়ে বসে থেকে তারা মানুষের চোখের জল ফেলতে বাধ্য করছেন। তাই শুভেন্দু অধিকারী দেবীপক্ষের সূচনাতে মানুষের আর্তনাদের কথা তুলে ধরেছেন। এটা তৃণমূলের ভাইপোর কাছে জ্বলনের কারণ হতেই পারে। তিনি চিড়বিড় করে জ্বলতেই পারেন। কিন্তু যেটা সত্যি, সেটাই শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন। এখানে দেবীপক্ষ, পিতৃপক্ষ বলে কথা নেই। মানুষের দাবি তুলে ধরেছেন শুভেন্দুবাবু। তাই তিনিই মানুষের মনের মানুষ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আজকে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার রাজপথের দিকে তাকালে হয়তো উৎসবের আলো দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু সেই আলোর পেছনেই রয়েছে গভীর অন্ধকার। যে অন্ধকারের মধ্যে বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা, বসে রয়েছেন ডিএর দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু তাদের দিকে সহানুভূতি নেই রাজ্যের সরকারের। যারা দুর্নীতি করছেন, তারাই এখন শাসক দলের বড় সম্পদ। কিন্তু একদিন সুবিচার আসবেই। তাই যারা চুরি করেছেন, যারা দুর্নীতি করেছেন, যাদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গিয়েছে, তাদের নিয়ে অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা মাতামাতি করতেই পারেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী এই ব্যবস্থার পক্ষে নন। তিনি এই দুর্নীতিকে ভাঙতে চান। তাই এদিন যুবরাজের প্রশ্ন করতেই তিনি যে চাঁচাছোলা জবাব দিলেন, তাতে তাকে সাবাসি দিচ্ছে তৃণমূল বিরোধী রাজ্যের আপামর জনসাধারণ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!