এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শুভেন্দুকে এত ভয়? শেষমেষ খবর পেয়েই পালালেন পুলিশ কর্তা! সোচ্চার বিজেপি!

শুভেন্দুকে এত ভয়? শেষমেষ খবর পেয়েই পালালেন পুলিশ কর্তা! সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুলিশ দিয়ে রাজ্য পরিচালনা করতে করতে রাজনীতি করা ভুলে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সবটাই তাদের এখন পুলিশ নির্ভর হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের কেস দেওয়া থেকে শুরু করে বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করা, সব জায়গায় পুলিশকে দিয়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধি হাসিল করছে শাসক দল। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু যে পুলিশের এত বড় বড় ক্ষমতা, যারা কথায় কথায় বিরোধীদের কেস দেয়, মিথ্যা মামলায় জেলে পোড়ানোর চেষ্টা করে, সেই পুলিশ আধিকারিক কিনা শেষমেষ শুভেন্দু অধিকারীর ভয়ে থানা থেকেই পালিয়ে গেলেন? বিরোধী দলনেতার মুখোমুখি হওয়ার মুরোদটুকু তার হলো না? মহালয়ার দিন খেজুরি থানায় যে ঘটনা ঘটলো, তা দেখে এই প্রশ্নই করতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, কোথায় গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় বড় কথা? তার পুলিশ নাকি মেরুদণ্ড সোজা রেখে কাজ করে! তার পুলিশ নাকি রাজ্যের মানুষকে পাহারা দেয়! তাহলে সেই পুলিশ উৎসবের দিন কেন থানায় নেই? নাকি শুভেন্দু অধিকারী আসবেন জেনেই আগেভাগেই ওপর তলার নির্দেশে সেই থানা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন?

প্রসঙ্গত, মহালয়ার দিন নিজের যাবতীয় কর্মসূচি সেরে হঠাৎ করেই খেজুরি থানায় পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মূলত, তার দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। আর তার প্রতিবাদ জানাতেই তিনি পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে থানায় কথা বলতে এসেছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার মত সাহস হলো না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই পুলিশ কর্তার। যা দেখে থানার ভেতরেই অন্যান্য আধিকারিকদের চোখে চোখ রেখে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি বিরোধী দলনেতা। বাণের জলে ভেসে আসিনি। মানুষের সমর্থন নিয়ে এসেছি। আপনারা যেভাবে হেনস্থা করছেন, এর ফল আপনাদের ভোগ করতে হবে। আর ভাইপোর এসপির নির্দেশে এখান থেকে এই আধিকারিক পালিয়ে গিয়েছে। বলা হয়েছে যে, সঙ্গে দেখা করবেন না। থানা থেকে চলে যান। সেইজন্য ও আজকে নেই।” একাংশ বলছেন, পুলিশ আধিকারিকরা তো সরকারের চাপে বিরোধীদের আটকাচ্ছে, মিথ্যা কেস দিচ্ছে। তাদেরকে এ কাজ করতেই হবে, না হলে নবান্নের 14 তলা থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই সেই সমস্ত আধিকারিকরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্যই মাথা উঁচু করে লড়াই করা শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছে না। যার ফলে থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো গতি হলো না খেজুরির সেই পুলিশ কর্তার। তবে লজ্জাবোধ থাকলে অন্তত এই কাজ করতে পারতেন না সেই আধিকারিক বলেই দাবি বিরোধীদের।

বিজেপির দাবি, রাজ্যে সবটাই এখন মমতা পুলিশ হয়ে গিয়েছে। তারা কেস দিচ্ছে, তারা বিরোধী নেতাকর্মীদের জেলে ভরছে, সেটাও না হয় বিজেপি মেনে নেবে। কিন্তু বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দেখা করার মতো সাহস কেন নেই পুলিশ কর্তার? তিনি যখন আইন মেনেই কাজ করছেন, তখন কেন তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ভয়ে থানা থেকে পালিয়ে গেলেন? যদি মেরুদন্ড সোজা রেখেই তিনি কাজ করতেন, তাহলে তো তিনি এদিন থানায় থাকতেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা পদটা তো এমনি এমনি আসেনি। প্রচুর মানুষের সমর্থন পেয়েই তো সেই পদে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাকে অমান্য করা মানে তো রাজ্যের সাধারণ মানুষকে অমান্য করা। তাহলে আইনের রক্ষক হয়ে কোন বার্তা রাজ্যের মানুষকে দিচ্ছেন এই পুলিশকর্তারা? যার ফলে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ক্রীতদাস পুলিশ। তাই তার ভয়ে এদিন থানা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হলেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী মানুষের দাবি নিয়ে থানা থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তর, যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই পুলিশ দিয়ে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। যাতে তিনি মানুষের কথা সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে না পারেন, তার জন্য কম চেষ্টা করেনি এই প্রশাসন। কিন্তু এত করেও যখন শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো যাচ্ছে না, তখন এই নির্লজ্জ রাস্তা তারা এখন বাছার চেষ্টা করেছেন ভাইপোর নির্দেশে। পুলিশ আধিকারিক থানা থেকে পালিয়ে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মুখোমুখি যাতে না হতে হয়, যাতে লজ্জায় পড়তে না হয়, তার জন্য মহালয়ার মত দিনেও বিরোধী দলনেতার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারলেন না। যার ফলে রাজ্যের প্রশাসনের ব্যর্থতা যেমন সামনে চলে এলো, তেমনই শুভেন্দু অধিকারীর সোজা থাকা মেরুদন্ডটা যে প্রতিবাদের মেরুদন্ড, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। আদতে যে মানুষের হয়েই কথা বলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিরোধীদের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!