এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে অ্যাটাক করে সাধু সাজার চেষ্টা? ফাঁদে মমতা ঘনিষ্ঠ! প্রবল খোঁচা বিজেপির!

শুভেন্দুকে অ্যাটাক করে সাধু সাজার চেষ্টা? ফাঁদে মমতা ঘনিষ্ঠ! প্রবল খোঁচা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে একজন ঘোষবাবু রয়েছে। যে ঘোষবাবুর রাজনৈতিক চরিত্র বোঝা বড়ই দায়। তিনি কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাচ্ছে তাই ভাবে আক্রমণ করেন, তাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান, আবার কিছুদিনের মধ্যেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি আবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যান। এখন সকাল বিকেল সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি নিয়ম করে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায় সেই ঘোষবাবুকে। যেখানে তার একমাত্র টার্গেট, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ তিনি খুব ভালো মত জানেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হতে গেলে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত তার মাথায় রাখতে গেলে শুভেন্দুবাবুকে অ্যাটাক করা ছাড়া তার আর কোনো পথ নেই। তাই নিয়ম করে তিনি তাই করেন। দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করেন। বলা ভালো, নিজের পদ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। আর এই কথা আমরা বলছি না, এই কথা বলছেন রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপির নেতা কর্মীরাই। তাদের দু চোখের বিষ তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। কিন্তু এবার সেই ঘোষবাবু এমন একটি মন্তব্য করে বসলেন, যাতে বিরোধীরা হাতিয়ার পেয়ে গেল। এদিনও তার অ্যাটাকের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু যে বিষয় তিনি বক্তব্য রাখলেন, তাতে বিরোধীদের প্রশ্নবাণে যেমন করলেন কুনাল ঘোষ, ঠিক তেমনই তার দল তৃণমূল কংগ্রেসও। অন্তত তেমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, আপনারা সকলেই জানেন, রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ চালকলের মালিক বাকিবুর রহমান। এদিন সেই ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে রাজ্যের এক শাসকদলের নেতা তথা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর ছবি প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তাতেই জ্বলে উঠেছেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করার পথে আবার নেমে পড়েছেন। কুনালবাবুর দাবি, “শুভেন্দু অধিকারীকে তো প্রকাশ্যে খবরের কাগজে টাকা মুড়ে নিতে দেখা গিয়েছে।‌ ওর নিজেরই তো ঘুষ নেওয়ার ছবি রয়েছে।” আর এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, কুনাল বাবু কি করে এত বড় বড় কথা বলেন? দীর্ঘদিন ধরে তিনি তো জেলে ছিলেন। জেলে থাকার সময় তিনি যে সব কথা তার বর্তমান নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বলেছিলেন, তা কি ভুলে গিয়েছেন? যখনই তাকে এই প্রশ্ন করা হয়, তখনই তিনি বিষয়টাকে ঘুরিয়ে দেন। তাই তার মত দীর্ঘদিন জেল খাটা আসামীর মুখ থেকে অন্তত শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে এত বড় বড় কথা মানায় না। যদি এতই বড় হিম্মত থাকে, তাহলে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্ত হন। কিন্তু তা না করে শুভেন্দুবাবু আসল তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন জন্য এবার তাকে কাবু করতে এইসব কথা ঘোষবাবু বলতেই পারেন। কিন্তু তার এই বস্তা পচা ডায়লগ আর সাধারণ মানুষ গ্রহণ করছেন না বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কুনাল ঘোষকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, চোর কখনও ধর্মের কাহিনী শুনতে রাজি নয়। তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতি চালকলের মালিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর আরও ফাঁস হয়ে যাবে। আর সেটাই শুভেন্দু অধিকারী ছবি সহকারে তুলে ধরেছিলেন। তাই ভয়ে এখন শুভেন্দু অধিকারীকে অ্যাটাকিংয়ের পথে নেমেছেন। তবে এসব কিছুতে বিজেপি বা শুভেন্দু অধিকারী কেউ ভয় পায় না। আইনের ওপর সকলের আস্থা রয়েছে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে তার সাজা হবে। কিন্তু বাইরে থেকে বড় বড় আওয়াজ না দিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে কুনালবাবু নিজের সততার পরিচয়টা আগে দিন। তারপর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বড় বড় কথা বলতে আসবেন। আর রাজ্যের সাধারণ মানুষ জানে, কে দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছে। তাই একজন জেল খাটা ব্যক্তির মুখ থেকে এই ধরনের কথা বাংলার মানুষ বিশ্বাস করবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, চারিদিক থেকেই তৃণমূলকে কার্যত দুর্নীতি ঘিরে ধরেছে। আর সেই দুর্নীতি একের পর এক ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। আগামী দিন তৃণমূলের ক্ষেত্রে খুব একটা শুভ দিন নয়। হয়ত খুব তাড়াতাড়ি আরও দুই একজন বড়সড় হেভিওয়েটের জেল যাত্রা হতে পারে। আর এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। অন্তত তেমনটাই দাবি বিরোধীদের। আর এই পরিস্থিতিতে সেই বিপদের আচ কি আগেভাগেই পেয়ে গিয়েছেন দীর্ঘদিন জেলে থাকা মিস্টার ঘোষ? সেই কারণেই কি এবার তিনি আক্রমণ করে যাতে ময়দানে টিকে থাকা যায়, যাতে নিজের দলের কাছে আরও ভালো হওয়া যায়, তার চেষ্টা করলেন? কিন্তু কুনালবাবু ভুলে গেলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাংলার মানুষের থেকে তিনি আরও দূরে সরে যাচ্ছেন। এমনিতেই তো তার ভাবমূর্তি ছিল প্রশ্নের মুখে। তবে এই আক্রমণ তিনি যত করবেন, ততই দুদিন পর তার সাক্ষাৎকারেও ভিউয়ারের সংখ্যা কমতে শুরু করবে। তাই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে করা প্রশ্নে নিজের ফাঁদে নিজেই পড়ে গেলেন তৃণমূলের স্বনামধন্য মুখপাত্র। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!