এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম লজ্জা! দেবীপক্ষেও রাস্তায় বসে চাকরি প্রার্থীরা! অন্ধরানীর রাজত্ব, কটাক্ষ বিজেপির!

চরম লজ্জা! দেবীপক্ষেও রাস্তায় বসে চাকরি প্রার্থীরা! অন্ধরানীর রাজত্ব, কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্য যখন আলোর রোশনাই, তখন একপক্ষ উদ্বোধনে ব্যস্ত। নেতা-মন্ত্রীরা সকলে মিলেই পূজোর উদ্বোধন করতে শুরু করে দিয়েছেন। দেবীপক্ষের আগেই সেই পুজোর উদ্বোধন তৈরি করেছে নতুন বিতর্ক। আর এসবের মাঝেই চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে তৈরি হয়েছে হতাশা এবং অন্ধকার। দীর্ঘদিন ধরেই এসএলএসটি 2016 এর চাকরি প্রার্থীরা গান্ধী মূর্তির নিচে বসে রয়েছেন। তাদের কাছে আনন্দ, উৎসব সবকিছুই এখন গৌণ। তারা একটাই দাবি করছেন, সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়াটা শুরু করুক। কিন্তু সেদিকে নজর নেই রাজ্যের। তাই চোখ থাকতেও, অন্ধরানীর রাজত্বে এখন সেই চাকরি প্রার্থীরা আনন্দ উৎসবের মধ্যে আন্দোলনে ব্যস্ত। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই এসএলএসটি 2016 চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। প্রত্যেক বছর তাদের কাছে বিভিন্ন উৎসবের দিন আনন্দের দিন এখন অন্ধকারের মূহুর্তে পরিনত হয়েছে। এদিন মহালয়ার তর্পণ করে যখন সকলের উৎসব মুখর হয়ে উঠেছেন, তখন সেই চাকরিপ্রার্থীদের মুখে শোনা যাচ্ছে হতাশার কথা। কেউ কেউ বলছেন, আর কতদিন এভাবে আন্দোলন করব! কেউ আবার বলছেন, গোটা রাজ্য আলোর উৎসবে ভাসবে, আর আমাদের আন্দোলনে থাকবে অন্ধকার? এই তো দেখতে চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কাউকে খুশি রেখে কারওর মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়াই কি এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্য?অনেকে এটাও বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী পুজোর মুখে মন্ত্রীদের ভাতা, বেতন বাড়াতে পারেন। কিন্তু সামান্য কয়েকটা ছেলে মেয়ের নিয়োগ করতে পারছেন না! সরকার যদি তাদের মনের কথা না বোঝে, তাহলে সেই দুঃখ মোচন করবে কে?

একাংশের দাবি, কতটা নির্লজ্জ হলে একটি সরকার ছেলেমেয়েদের ব্যথা যন্ত্রণাকে উপভোগ করতে পারে! সামান্য কয়েকটা নিয়োগ না করে দিনের পর দিন তারা উৎসবের মুহূর্তেও রাস্তায় বসে থাকছেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহানুভূতি দেওয়া তো অনেক দূরের কথা, উল্টে কিভাবে তাদের বিরোধী তকমা দিয়ে বেঁধে দিতে হয়, তার চেষ্টা করতেই ব্যস্ত রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।ইতিমধ্যেই গান্ধী মূর্তির তলায় বসে থাকা চাকরি প্রার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, অন্ধরানীর রাজত্বে বাস করছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এটা রাজ্যের সকল মানুষেরই প্রার্থনা। কিন্তু অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তো তিনি বাড়ি থেকে একের পর এক পূজো উদ্বোধন করছেন। তার কাছে তো আনন্দ উৎসবের কমতি নেই। কিন্তু তার সন্তান সম এই ছেলেমেয়েগুলোর দিকে একটু দৃষ্টি দিলেই কি তার কোনো বড় ক্ষতি হয়ে যাবে? এতে তো মুখ্যমন্ত্রীর দুটো সুবিধা হত।

এক, তার সহানুভূতি প্রকাশ পেত। আর দুই, সেই ছেলে মেয়েগুলোও খুশি হয়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রাজ্যের শাসকদলের দিকেই সমর্থন করতেন। কিন্তু এই সরল সত্যটি না বুঝে যেভাবে তাদের দমন প্রেরণ করার প্রক্রিয়া রাজ্যের সরকার শুরু করেছে এই উৎসবের দিনেও, তাতে এই নব প্রজন্মের চোখের জল অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে শাসক দলের কাছে। আগামী দিনে তাতে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে তৃণমূল বলেই দাবি বিরোধীদের।পর্যবেক্ষকদের মতে, যারা আন্দোলন করছেন, তাদের পরিবারেও ছোট ছোট সদস্যরা রয়েছে। বাড়ির বড়রা গান্ধীমূর্তিতে বসে থাকার কারণে কি সেই বাড়ির ছোট সদস্যদের আনন্দ হবে না! হবে না তাদের পুজোর নতুন জামা কাপড়? কেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইটুকু মানবিক রূপ সামনে আনতে পারছেন না? কিসের এত ইগো তার! ধরে নেওয়া যাক, তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া পথে হাঁটবেন না। কিন্তু এই উৎসবের সময় সবাই যখন আনন্দ করছে, তখন তো এই আন্দোলনকারীদের অন্তত তিনি সহানুভূতির হাতটা বাড়িয়ে দিতে পারেন। তাহলে তো তারা অন্তত আশায় বুক বাঁধে যে, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল!তার তো অনেক ব্যস্ততা। তিনি তো ঘন্টায় ঘন্টায় এখন বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করবেন। কিন্তু তার মাঝখানে একটা ফোন করে কি সেই এসএলএসটি 2016 চাকরি প্রার্থীদের তিনি সামান্য সহানুভূতি দিয়ে বলতে পারছেন না যে, আপনারা পুজোয় আনন্দ করুন আন্দোলন থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের বিষয়টা নিয়ে ভাববে রাজ্য সরকার। কেন এই বিষয়ে এত ইগো রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের? গতিপ্রকৃতি দেখে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!