এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রেলের বিরুদ্ধে সরব মমতা, জেনে নিন

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রেলের বিরুদ্ধে সরব মমতা, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ কলকাতার বহুতলের 13 তলায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন লেগে যায়। স্ট্যান্ড রোডের পূর্ব রেলের অফিসে সেই বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হয় প্রায় 7 জনের। কার গাফিলতিতে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, তা নিয়ে এখন কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তবে একের পর এক প্রাণ চলে যাওয়ায় দুঃখের শেষ নেই। আর এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গোটা ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা গেছে তাকে।

বস্তুত, সোমবার রাতেই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন এটা রেলের ভবন। খুব পুরনো ভবন। আগুন নেভাতে গিয়ে 7 জন মারা গিয়েছেন। ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি, লিফট দিয়ে উঠতে গিয়েছিলেন। বিদ্যুতের ঝলকের মতো আগুনের লেলিহান শিখা শরীর ঝলসে দিয়েছে। সাত জন মারা গিয়েছেন। যতক্ষণ না সনাক্তকরণ হচ্ছে, ততক্ষণ সব নাম বলা যাচ্ছে না।” আর এরপরই রেলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।

তিনি বলেন, “এটা রেলের জায়গা। রেলের সবটাই। তাদের ওপরও দায়িত্ব বর্তায়। কিন্তু ওরা কেউ আসেনি। দমকল থেকে ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। এত বড় বিল্ডিংয়ে কোথায় কি রয়েছে, জানা সহজ নয়। সেই সহযোগিতা করেনি বলে দমকলমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি চাই না।” অর্থাৎ ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের পরেও এবার রাজ্য বনাম কেন্দ্রের লড়াই সামনে আসতে শুরু করবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, সত্যিই গোটা ঘটনা অত্যন্ত বেদনাবিদূর। প্রাণ চলে গিয়েছে 7 জন ব্যক্তির। কিন্তু যেভাবে এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নয়া মাত্রা ধারণ করতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের এই গোটা ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে আসার কথাই ভাবতে শুরু করেছেন একাংশ।

তবে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে যদি দড়ি টানাটানি শুরু হয়, তাহলে তা দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একের পর এক প্রাণ চলে যাওয়ার পর রাজনৈতিক তরজাকে পেছনে রেখে দুই সরকার কতটা সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!