এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এজেন্সিকে নিয়ে আবার মিথ্যাচার! মমতার ভাওতাবাজি প্রকাশ্যে, সরব বিজেপি!

এজেন্সিকে নিয়ে আবার মিথ্যাচার! মমতার ভাওতাবাজি প্রকাশ্যে, সরব বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-যে মঞ্চেই বক্তব্য রাখুন না কেন, সব জায়গাতেই এজেন্সির ভুত দেখতে পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক, প্রত্যেকটি মঞ্চেই তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি এজেন্সি লাগিয়ে দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে। কিন্তু বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ, সেখানেও যে এইরকম নিকৃষ্ট মাপের অভিযোগ করতে দেখা যাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে, তা সত্যিই বোঝা যায়নি। তবে এই মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবকিছুই আশা করা যায়‌। তিনি না কিছু বোঝেন, না কিছু বোঝার চেষ্টা করেন। সমস্ত জায়গায় একটা রাজনৈতিক কথা বলে নিজের সরকারের ব্যর্থতাকে ঢাকার প্রাণপণ চেষ্টা করেই চলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এক্ষেত্রেও তিনি তাই করলেন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন, যা শিল্প আনার জন্য দুদিনব্যাপী ঢালাও খরচ করে আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও শেষ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অনেক কিছু রাজনৈতিক কথা বলেছেন। তবে তার পরিপ্রেক্ষিতেই পাল্টা শাসক দল এবং তাদের নেত্রীকে কটাক্ষ ছুড়ে দিল বিজেপি।

প্রসঙ্গত, এজেন্সি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এসব ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে গিয়েছিলেন শিল্প আনতে। কিন্তু সেখানে অনেক সাদা চামড়ার লোকেরা বসে ছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গে কোনো সাদা শিল্প আজ পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়নি। এর আগের শিল্পমন্ত্রীরা প্রচুর স্বাক্ষর হয়েছে বলে বলেছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে তিন শতাংশের কম বিনিয়োগ হয়েছে, এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েবসাইট বলছে। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই ধরনের কথা শোভা পায় না। তিনি কখন কি বলেন, সেটা একমাত্র তিনিই জানেন।”

একাংশ বলছেন, এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে হয়, তাই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ হলেও তার তো সেখানে বলার মত কিছু নেই। তার এই সমস্ত রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই তো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য কি? তারা শুধু নিজেদের প্রচার করবে, কিন্তু শিল্প আনার জন্য মঞ্চ তৈরি হলেও সেখানে এক ছটাক শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে কোনো কথা না বলে নেহাত রাজনৈতিক কথা বলে নিজের দর বাড়ানোর চেষ্টাই করে গেলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যাকে দুর্ভাগ্যজনক বলা ছাড়া আর কোনো আখ্যাই দিতে পারছে না বিরোধীরা।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, মানুষের টাকা খরচ করে এই শিল্প সম্মেলন তো শিল্প আনার জন্য নয়। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের প্রচার করার জন্য নামিদামি শিল্পপতিরা আসবেন, মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলবেন, এটাতেই তিনি আহ্লাদিত হয়ে যাবেন। রাজ্যের মানুষকে তিনি দেখাবেন যে, তিনি কতটা মানুষের জন্য কাজ করছেন। কিন্তু সেই সমস্ত শিল্পপতিরা এর আগেও এসে অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা এক ফোঁটাও বিনিয়োগ এই রাজ্যে করেননি। কারণ এই রাজ্যের উপর তাদের কোনো ভরসা নেই। ফলে এবারও যা হওয়ার তাই হবে। আর এটা মুখ্যমন্ত্রীও খুব ভালো করে জানেন। তাই শিল্প নিয়ে কোনো কথা না বলে কেন্দ্রকে কি করে খাটো করা যায়, সেই কথাই তার মুখ থেকে শোনা গিয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মানুষের টাকা নিয়ে উৎসব, ফুর্তি এসবেই তো মজে রয়েছে এই রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তো খুব ভালোমতো জানেন, শিল্প সম্পর্কে তার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। কারণ এই কয় বছরে একটা শিল্পও রাজ্যে আসেনি। তাই শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে তিনি যদি তার বক্তব্যে শিল্প নিয়ে কথা বলেন, তাহলে তাতেও খুত ধরে ফেলতে পারেন শিল্পপতিরা। আর এতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস্টিজ আরও ডাউন হয়ে যেতে পারে। তাই শিল্প নিয়ে কোনো কথা না বলে কেন্দ্র বিরোধী এবং এজেন্সির বিরুদ্ধে কথা বলে নিজেকে সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টাই করে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!