এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে আক্রমণ, বড়সড় ধাক্কা খেলেন মমতা! পাল্টা খোঁচা বিজেপির!

ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে আক্রমণ, বড়সড় ধাক্কা খেলেন মমতা! পাল্টা খোঁচা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন এজেন্সিকে নিয়ে যে কোনো মঞ্চে আক্রমণ করে কেন্দ্রকে চাপে ফেলার চেষ্টা করতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার সেই ধাঁচ কিছুটা বদলে প্রধানমন্ত্রী দেশকে আত্মনির্ভর করার যেভাবে চেষ্টা করছেন, তাকেই আক্রমণ করে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও একবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন যে, বাংলা যেভাবে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে, দেশ কেন সেভাবে পঙ্গু হচ্ছে না! দেশ কেন এগিয়ে যাচ্ছে! এটাই তার কাছে জ্বালার কারন। অন্তত কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। কেননা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ক্যাশলেস ইন্ডিয়া তৈরি করেছেন, ডিজিটালাইজেশনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতবর্ষ, এবার তাকেও নিজের আক্রমণের মুখে ফেলে দিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। যা দেখে তাজ্জব বিরোধীরা। কোথায় দেশের এই ডিজিটালাইজেশনে একজন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী খুশি হবেন, কিন্তু সেখানে তিনি তার বিরোধিতা করছেন! তাই এবার পাল্টা এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে তার অপদার্থতাকে সামনে এনে দিল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে ডিজিটাল এবং ক্যাশলেস ইন্ডিয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই প্রসঙ্গেই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হয়। যার উত্তরে এই বিজেপি নেতা বলেন, “এই আক্রমণ করছেন জন্যই তো যারা এই মঞ্চে বসেছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ 20 হাজার কোটি, কেউ 2 হাজার কোটি, কেউ 5 হাজার কোটি বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে বাংলা কিছু পাচ্ছে না। আসল বিনিয়োগ হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটে। আর এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ক্যাশলেস ইন্ডিয়াতে শিল্পপতিরা কতটা খুশি।” একাংশের মতে, ক্যাশলেস ইন্ডিয়াতে দেশের জনগণও খুশি। পকেটে টাকা না থাকলেও এখন আর কোনো চাপ নেই। মোবাইলের মধ্যেই সবকিছু বন্দি। তাই এতে তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল দিকের উন্নতি অনেকটাই হয়েছে। কিন্তু এই সহজ সত্যটাকে উপলব্ধি না করে মুখ্যমন্ত্রী শিল্প বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে এমন কিছু বলে দিলেন, যাতে তার এই ধরনের বক্তব্য শুনে শিল্পপতিরা আরও বাংলায় বিনিয়োগ করার আগ্রহ থেকে পিছিয়ে আসবেন বলেই দাবি করছেন সমালোচকরা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি। তাদের দাবি, একজন অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী শিল্প নিয়ে কথা বললেন। যার কোনো জ্ঞান নেই, যিনি বোঝেন না টেকনিক্যাল দিক, তিনি প্রধানমন্ত্রীর ক্যাশলেস ইন্ডিয়াকে কটাক্ষ করছেন। তিনি বুঝতেও পারলেন না, তার এই বক্তব্য শিল্পপতিদের মধ্যে কি প্রভাব ফেলছে! এমনিতেই তো বাংলায় শিল্পের পরিবেশ নেই। শিল্পপতিরা তার সামনে অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু বাংলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই তারা বাংলার কথা ভুলে যাবেন, এটাই বাস্তব। কারণ এতদিন ধরে তাই হয়ে এসেছে। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ডিজিটালাইজেশনের বিপক্ষে কথা বললেন, তাতে শিল্পপতিরাও বুঝে গিয়েছেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী টেকনিক্যাল দিক সম্পর্কে অবগত নয়। তাই তারা এই রাজ্য নিয়ে এই শিল্প সম্মেলনের পর আর বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাবেন না বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ক্যাশলেস ইন্ডিয়া কত উন্নতি এবং সুবিধা করছে, তা বোঝার মত ধ্যান-ধারণা কিছুই নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু যেটা তিনি জানেন না, সেই সম্পর্কে বক্তব্য রেখে তার কি লাভ? এর ফলে তো তার ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়ছে। তিনি তো শিল্প আনার জন্য এই শিল্প সম্মেলন করছেন না। এটা সকলেই জানেন, নিজের প্রচার করার জন্যই তিনি এসব করছেন। বিদেশ থেকে নামিদামি মানুষরা আসবেন, তার প্রশংসা করবেন, এটাই তার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু সেখানেও তো এবার ঘাটতি থেকে গেল। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে গিয়ে তাদের মহৎ উদ্দেশ্য, দেশকে উন্নতির কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী চেষ্টাকে খাটো করলেন, তাতে শিল্পপতিরা তো মুখ্যমন্ত্রীকেই অন্য চোখে দেখতে শুরু করেছেন। তাদের মনেও একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে যে, এভাবে কি সত্যিই উন্নতি সম্ভব? ডিজিটালাইজেশনের পথে যখন এগিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ এবং বিশ্ব, তখন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাশলেস ইন্ডিয়ার বিপক্ষে কথা বলছেন কি করে? এই ধরনের কথা বলা মানে তো রাজ্যের মানুষের বিপক্ষেই কথা বলা! তাহলে কি দেশ এবং রাজ্যের উন্নতি হোক, এটা চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!