এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অস্তিত্ব না থাকা “ডেভেলপমেন্ট ফি” নিয়ে পঞ্চায়েত স্তরে বড়সড় দুর্নীতি? কড়া ব্যবস্থার পথে রাজ্য

অস্তিত্ব না থাকা “ডেভেলপমেন্ট ফি” নিয়ে পঞ্চায়েত স্তরে বড়সড় দুর্নীতি? কড়া ব্যবস্থার পথে রাজ্য

 

2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অনেক জায়গাতেই পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় দুর্নীতি জাঁকিয়ে বসেছে বলে অভিযোগ করতে দেখা যেত বিরোধীদের। তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগ এবার যেন কিছুটা হলেও সত্যি হতে শুরু করল। বস্তুত, পঞ্চায়েত আইনে উন্নয়ন ফির নামে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তবে বেশ কিছু পঞ্চায়েত প্ল্যান অনুমোদনের সময় উন্নয়ন ফি’র নামে টাকা চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরের কাছে এইরুপ অভিযোগ আসায় এখন তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে উন্নয়ন ফি’র নামে কোনো টাকা নেওয়া যাবে না বলে জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দিল পঞ্চায়েত দপ্তর। আর যদি কোনো ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়, তাহলে সেই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে পঞ্চায়েত আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। যেখানে প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, সাড়ে 6 মিটার উচ্চ বাড়ির ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত যে কোনো প্ল্যানের অনুমোদন করতে পারবে। তবে সাড়ে 6 মিটার থেকে 15 মিটার উচ্চতা বাড়ির অনুমোদন পঞ্চায়েত সমিতি এবং 15 মিটার ও তার বেশি উচ্চতার বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন করার দায়িত্ব থাকবে জেলা পরিষদের উপর।

আর এখানেই অভিযোগ যে, জেলা পরিষদের অনুমোদনের আগে নির্মাণকারী সংস্থা গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমোদন নিলে উন্নয়নের নামে বেশ কিছু টাকা নেয় গ্রাম পঞ্চায়েত। আর বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরে এই সমস্ত অভিযোগ আসায় কেন এভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে! তা রোধ করতে এবং দুর্নীতি কমাতে রাজ্যের প্রতিটি জেলাকে কড়া বার্তা দেওয়া হল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এম ভি রাওয়ের কাছে উত্তর 24 পরগনা থেকে এরকম একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। বর্তমানে সেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। আর তাই এই পরিস্থিতিতে একদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা, আর অন্যদিকে এই সমস্ত অভিযোগ যাতে সরকারকে বিদ্ধ করতে না পারে, তার ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে অনেকাংশেই দুর্নীতির জন্য তৃণমূলকে খারাপ ফল করতে হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাড়ির প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উন্নয়নে ফি নেওয়ার অভিযোগ আসায় তা বন্ধ করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। যা রাজ্যের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকেই প্রকট করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নে ফি নেওয়া আটকাতে কড়া বার্তা দিলেও তা কতটা কার্যকরী হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!