এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার দুর্দিন আসন্ন, জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেও রক্ষা পাবে না তৃনমূল! আক্রমনে বিজেপি!

মমতার দুর্দিন আসন্ন, জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেও রক্ষা পাবে না তৃনমূল! আক্রমনে বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রত্যেক সময় উন্নয়নের বদলে তোষণের রাজনীতি করে রাজ্যকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে এই সরকার। আজকে পশ্চিমবঙ্গের সরকার চলছে নাকি সার্কাস চলছে, সেটা বুঝতে পারছে না বিরোধীরাও। কোনো সরকার উন্নয়নের জন্য অর্থ খরচ করতে পারে। কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য তারা মানুষের টাকা খরচ করতে পারে না। সেটা হিন্দুদের মন্দির হতে পারে বা মুসলমানদের মসজিদ, কোনো কিছুর ক্ষেত্রেই সরকারের এই ধরনের কাজ করা উচিত। তেমনটাই দাবি বিরোধীদের। কিন্তু এখন হিন্দুদের ভোট পেতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করার পরে দীঘার মাটিতে জগন্নাথ মন্দির স্থাপন করার কাজ শুরু করে দিয়েছে এই রাজ্যের সরকার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কি করে একটি সরকার কাজ করতে পারেন? তবে প্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদ লাভ করার চিন্তা করে নিজের সরকারকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য যদি এই মন্দির করার স্বপ্ন দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে তিনি ভুল করছেন। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য যে কথা বললেন, তাতে এই ব্যাপারে সরকারের অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পেল।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে কত শিল্প আসবে, সেই ব্যাপারে তথ্য না দিয়ে একাধিক বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রেখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কখনও রাজনৈতিক কথা, আবার কখনও বা তিনি নিজে কতটা বড়, নিজে কতটা মানুষের জন্য কাজ করছেন, এই সমস্ত কথা বলে সময় নষ্ট করেছেন। বিরোধীরা দাবি করছে, একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই ধরনের কথা আশা করা যায় না। আর সেখানেই উঠে এসেছে, তার সরকার অর্থাৎ মা মাটি মানুষের সরকার দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির স্থাপন করছে। আর এটাতে নাকি পর্যটন গত দিক থেকে রাজ্যের প্রভূত উন্নতি হবে। নিঃসন্দেহে এই মন্দির হলে কারওর আপত্তির কোনো কারণ নেই। কিন্তু মানুষের টাকায় কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করা যায় না। এই সম্পর্কে যথেষ্ট বিধি নিষেধ রয়েছে, সেই দাবি তুলছেন একাংশ। তবে সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এই সরকার যদি ভাবে, পুরীর আদলে এখানে জগন্নাথ মন্দির করবেন, তাহলে করতেই পারেন। পুরীতে যে সংখ্যক মানুষ যান, তার অর্ধেক মানুষ হয়ত এখানে এসে পুজো দেবেন, জগন্নাথ দেবের কৃপা লাভ করবেন। কিন্তু সরকার যদি ভাবে যে, জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদ তারা পাবেন, তাহলে তারা ভুল করছেন। জগন্নাথ দেবও এদের দায়িত্ব নেবে না। কেউ এদের দায়িত্ব নিয়ে কেস খাবে না।”

বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো মতো জানেন, তিনি রাজ্যের মানুষের সঙ্গে কি পরিমান অন্যায় করছেন। কথাতেই আছে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। তাই ভবিষ্যতে এর ফল এই রাজ্য সরকারকে পেতেই হবে। আর সেই কারণেই এখন প্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদ পাওয়ার মরিয়া চেষ্টার জন্য। দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির করে মানুষের মনে জায়গা পাওয়ার চেষ্টা করছেন এই রাজ্যের সরকার। কিন্তু মানুষের পেটে ভাত না দিয়ে, বেকারদের চাকরি কেড়ে নিয়ে বেশি দিন ভালো সাজা যাবে না। আর এটা প্রভু জগন্নাথ দেবও খুব ভালো মত প্রত্যক্ষ করছেন। তাই আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য যদি মন্দির স্থাপন হয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর এই চেষ্টা বৃথা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালোমতো জানেন, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করার জন্য তার হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক ক্রমশ কমে আসছে। যে সম্প্রদায়কে তিনি এতদিন তোষণ করে এসেছেন, তাদের ভোটও এখন ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার মুখে। তাই এখন মন্দির স্থাপন করে মানুষের সিমপ্যাথি আদায় করার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু ভগবান মানুষের জন্য। মানুষ যেখানে ভালো থাকেন, সেখানেই ভগবান থাকেন। তাই যে রাজ্যে শিল্পের ধোঁয়া ওঠে না, যে রাজ্যে রাস্তায় বসে কাঁদে বেকাররা, যেখানে ডিএ না পাওয়ার জন্য সরকারি কর্মীরা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে থেকে আন্দোলন করেন, আর তাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠে সরকারের বিরুদ্ধে, সেখানে সেই সরকারের পাশে বড় বড় মন্দির স্থাপন হলেও, প্রভু জগন্নাথ থাকবেন না। পাপের ফল এই স্বৈরাচারী শাসককে ভোগ করতেই হবে। শমীকবাবুর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!