এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার দুর্নীতি আরও প্রকাশ্যে ! সময়, বছর তুলে ধরে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু !

মমতার দুর্নীতি আরও প্রকাশ্যে ! সময়, বছর তুলে ধরে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2011 সালে রাজ্যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল সরকার। রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করেছিল যে, এই তৃণমূল সরকার মানুষকে চাকরি দেবে, বেকারদের চোখের জল মোছাবে, রাজ্যে শিল্প আনবে। কিন্তু প্রায় 12 বছর পর এসে যেভাবে মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে, তা দেখে চক্ষুচরক গাছ রাজ্যের মানুষের। সবাই এখন একটাই কথা বলছেন, কবে এই তৃণমূল সরকার বিদায় নেবে! সততার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বচ্ছতার কথা বলে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা যে এই বিপুল দুর্নীতি করতে পারে, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। কিন্তু কবে থেকে ঠিক এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে! কিভাবে সেই দুর্নীতিতে হাত পাকিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা! এবার সেই তথ্য ফাঁস করে এমন এক কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, যাতে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, ক্ষমতায় বসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই রাজ্যে চুরির রাজত্ব শুরু হয়েছে। সমালোচকরা অবশ্য তেমনটাই বলছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বড় তথ্য ফাঁস করেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি বলেন, “2013 সাল থেকে এই দুর্নীতি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে 17, 18, 19, 20 সালে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে এই চুরি হয়েছে রাজ্যে। এই সময়টা এদের গোল্ডেন পিরিয়ড ছিল।” একাংশ বলছেন, একদিনে এই দুর্নীতি যে হয়নি, তা স্পষ্ট। শুভেন্দু অধিকারী এত কনফিডেন্স নিয়ে এত তথ্য দিতে পারছেন, তার কারণ, তিনি দীর্ঘদিন এই তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। আর সেই সময়টা তিনি দেখেছেন, কিভাবে এই দুর্নীতি করেছে রাজ্যের শাসক দল! তাই এখন বিরোধী শিবিরের প্রধান নেতা হয়ে শুভেন্দু অধিকারী মানুষের যে হাঁসফাঁস অবস্থা, তা নিরসন করার জন্য একটা লড়াই করছেন। আর সেই লড়াইয়ে রাজ্যবাসীকে মুক্তি দিতে শুভেন্দুবাবু এটাও ফাঁস করে দিলেন যে, ঠিক কোন সময়টা এই সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল!

বিজেপির দাবি, শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যই যদি সত্যি হয়, তাহলে তো এটা স্পষ্ট যে, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চুরি শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতারা। কিভাবে মানুষের টাকা লুট করা যায়, তার চেষ্টা তারা প্রথম দিন থেকেই শুরু করেছে। তবে এখন সেই চুরি ধরা পড়ছে এবং এই ভাবে যে তৃণমূল নেতারা জেলে যাবে, তা হয়ত মুখ্যমন্ত্রী কল্পনাই করতে পারেননি। কিন্তু সবকিছুর একটা শেষ থাকে। এখন তো মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে। আগামী দিন হাওয়াই চটি ছিড়ে যাবে। আর তারপর মূল মাথার গ্রেপ্তার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অনেক ভরসা করে রাজ্যের মানুষ বামেদের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিল। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এবং তার দলের কাছে এটা আশাই করেনি যে, এরাও চুরি করতে পারে। কিন্তু সবথেকে বেশি এই রাজ্যে শাসকদলের ক্ষমতায় থেকে যদি কেউ চুরি করে, তাহলে সেই দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। আজকে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বিরোধীদের বক্তব্য অবশ্য তেমনটাই। বারবার শুভেন্দু অধিকারী আওয়াজ তুলছেন, মূল মাথাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আর এবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে এই রাজ্যের সরকার এবং তৃণমূল দল, সেই তথ্যও ফাঁস হয়ে গেল। যার ফলে প্রবল বিপাকে পড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!