এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > স্বাস্থ্য দপ্তরে জেলযাত্রার অশনি সঙ্কেত? অকাল দীপাবলীর ঘোষণা শুভেন্দুর!

স্বাস্থ্য দপ্তরে জেলযাত্রার অশনি সঙ্কেত? অকাল দীপাবলীর ঘোষণা শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- হাতে আর কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই আলোর উৎসবে ভাসবে রাজ্যবাসী। শুরু হবে দীপাবলি। আর তার প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই অকাল দীপাবলীর কথা বলে তৃণমূলের অন্দরে চিন্তার রণডঙ্কা বাজালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বর্তমানে একের পর এক রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা শ্রীঘরে যাচ্ছেন। দুর্নীতির দায়ে জেল হচ্ছে তাদের। সর্বশেষ সংযোজন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ভবিষ্যতে আরও অনেক হেভিওয়েটের জেলযাত্রা অপেক্ষা করছে বলে দাবি বিরোধীদের। আর তার মাঝেই এদিন শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে বিরোধীরা তো বটেই, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তারা যথেষ্ট খুশি। সবাই সেই দিনটার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন, যেদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে ঘটে যাবে বড়সড় ঘটনা। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরকে জড়িয়ে কি এমন কথা এদিন বিরোধী দলনেতা বললেন? কেনই বা তা নিয়ে এত চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে?

প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমানে স্বাস্থ্য দপ্তর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রয়েছে। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বারবার করে বলছেন, স্বাস্থ্য যেদিন জেলে যাবে, সেদিন রাজ্যের মানুষের লড়াই সফলতা পাবে। এদিন সেই একই কথা শোনা যায় বিরোধী দলনেতার গলায়। তবে তার পাশাপাশি অকাল দীপাবলীর কথা বলে শুভেন্দুবাবু বলেন, “যেদিন স্বাস্থ্য জেলে যাবে, সেদিন রাজ্যের ঘরে ঘরে শঙ্খধ্বনি বাজবে, অকাল দীপাবলি হবে। আমরা সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছি।” আর বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরেই যারা বিরোধী রাজনীতি করেন, যারা তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চান, তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আশার আলো।

বিজেপির দাবি, সবটাই তো হচ্ছে রাজ্যের যিনি মুখ্যমন্ত্রী, তার হাত ধরে। এতগুলো দপ্তরের মন্ত্রী একের পর এক চুরির দায়ে জেলে যাচ্ছেন, অথচ মুখ্যমন্ত্রী কিছুই জানেন না, এটা হতেই পারে না। স্বাস্থ্য দপ্তরে যে বিপুল দুর্নীতি হয়েছে, তার তথ্য শুভেন্দু অধিকারী সংগ্রহ করছেন। তাই অদূর ভবিষ্যতে সেই স্বাস্থ্য দপ্তরের মন্ত্রীকেও বড় মাশুল দিতে হতে পারে। আর সেদিন রাজ্যের মানুষ সব থেকে বেশি আনন্দিত হবে। কারণ এত চুরির পেছনে যার সব থেকে বড় কারসাজি রয়েছে, তাকে গ্রেফতার করা হলেই এই যাবতীয় লড়াই পূর্ণতা পাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে তো একটাই পোস্ট, বাকি সব তো মূল্যহীন। আজকে অনেক মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে, এ কথা ঠিক। দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, এটাও ঠিক। কিন্তু সকলেই চাইছেন, প্রধান মাথাকে গ্রেফতার করা হোক। যিনি এই দুর্নীতির পেছনে কিঙ্গ পিন হিসেবে কাজ করেছেন। হয়তো
বা সেই কথাই বলে স্বাস্থ্য দপ্তর যেদিন জেলে যাবে, সেদিন অকাল দীপাবলি হবে, এটাই বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই তার বক্তব্য যদি সত্যি হয়, তাহলে এটা স্পষ্ট যে, স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, তাকে ধরা হলেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই সাফল্যের মুখ দেখবে। লক্ষ্য পূরণ হবে গোটা রাজ্যবাসীর। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!