এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ডেঙ্গিতে মরছে মানুষ, এদিকে গঙ্গারতীর উদ্যোগ রাজ্যের! ধিক্কার বিজেপির!

ডেঙ্গিতে মরছে মানুষ, এদিকে গঙ্গারতীর উদ্যোগ রাজ্যের! ধিক্কার বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যের শাসক দল এখন ধীরে ধীরে সনাতন প্রেমী হয়ে উঠতে শুরু করেছে এতদিন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে তাদের কাজ শেষ হয়নি এখন আবার হিন্দু সম্প্রদায়ের মন খুশি করার জন্য কখনো জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দীঘায় মন্দির স্থাপনা আবার কখনো বা কলকাতায় গঙ্গারতির ব্যবস্থায় মনোযোগী হয়েছে এই রাজ্য সরকার। কিন্তু এসব কিছুই ভোট ব্যাংকের জন্য নিজেদের ভোট ব্যাংক সুরক্ষিত রাখতে হিন্দু সনাতনীদের মন পেতে এবার নয়া ফাঁদ পাততে চলেছে এই রাজ্যের প্রশাসন। যাকে ধিক্কার জানাতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। যে কোনো সম্প্রদায়কে তোষন করা একটি রাজ্য সরকারের কাজ নয়। তাদের কাজ উন্নয়ন করা, মানুষকে ভালো রাখা। কিন্তু তা না করে গোটা বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই রাজ্যের সরকার এখন যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তা যে আবার একটা মানুষের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার চক্রান্ত এবং রাজ্যকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেওয়ার পূর্বাভাস, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করছে বিরোধী শিবির।

প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতায় গঙ্গারতির উদ্যোগ নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এসবই তো এখন হবে। এই রাজ্যে ডেঙ্গিতে মানুষ মরছে, কলকাতায় রাস্তাঘাট ভাঙ্গা, ড্রেনের পরিষেবা ঠিক নেই। মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন, সেদিকে নজর দেওয়ার মত সময় নেই। তাই গঙ্গারতি করে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা হবে।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন যে, বিজেপি তো সনাতনী ধর্মে বিশ্বাস করে। তাহলে গঙ্গারতির ব্যবস্থা যখন এই রাজ্য সরকার করছে, তখন তাতে কেন আপত্তি জানাচ্ছে গেরুয়া শিবির? বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বিজেপি মানুষের উন্নয়ন বাদ দিয়ে কোনো কিছুতেই ভরসা রাখে না। তাদের কাছে মূল উদ্দেশ্য, মানুষের উন্নয়ন হোক। ধর্ম তো অবশ্যই পালন করা সকলের কর্তব্য। কিন্তু একটি সরকারের কাজ কখনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের জন্য কাজ করা হতে পারে না। তারা মানুষের জন্য। তাই মানুষের কাজ না করে যখন এই রাজ্য সরকার ভোটব্যাংকের জন্য কাজ করবে, তখন তার বিরোধিতা সব সময় করবে বিরোধী দল। আর এতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বিজেপি শুধুমাত্র হিন্দুদের দল বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দাবি করেন, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। বিজেপি মানুষের দল। আর সেই কারণেই মানুষের উন্নয়নের পক্ষেই তারা বেশি করে দাবি জানাচ্ছে।

বিজেপির পক্ষ থেকে এটাও বলা হচ্ছে যে, মুখ্যমন্ত্রী এতদিন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে বুঝেছেন যে, তাদের সেই ভোটব্যাঙ্ক ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। সামনে লোকসভা ভোট। তাতে আসন সংখ্যা শূন্যতেও নামতে পারে তৃণমূলের। তাই এখন হিন্দুদের মন পেতে কখনও গঙ্গারতি, কখনও মন্দির স্থাপনে মনোযোগী হয়ে উঠেছে এই রাজ্যের সরকার। তবে এসব করে মানুষের উন্নয়ন হবে না। যদি মানুষের মন পেতে চান, তাহলে পরিকাঠামো গত উন্নয়ন করুন, বেকারদের চাকরি দিন। তাহলেই ভগবান দু হাত তুলে আপনাদের আশীর্বাদ করবেন। আর তা না করলে শুধুমাত্র চালাকি দিয়ে মানুষের মন পেতে হলে আগামী দিনে পরিত্রান হবে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গঙ্গারতির জন্যও তো প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। সেই টাকা দিয়ে কি ডেঙ্গি আটকানোর জন্য পরিকাঠামো গত উন্নয়ন করতে পারছে না রাজ্য সরকার? তাহলে তো মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারত। মানুষ বাঁচলেই তো ধর্ম বাচবে। তাই রাজ্য যদি ভাবে যে, মানুষকে বিপদে ফেলে মানুষের সুস্থতার দিকে নজর না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের উন্নয়ন করে ভোট পাবে, তাহলে তারা ভুল করছেন। এতে রাজ্যের মানুষ যেমন বিপদে পড়বে, ঠিক তেমনই শাসকদলের ভোটব্যাংকও সুরক্ষিত থাকবে না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!