প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুরো লকডাউন সময়কালে নিজের কাজের মধ্যে দিয়েই সকলের সামনে আইডল হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ। তবে কিছুদিন আগে সেই তাঁর নামেই পুলিশে অভিযোগ করা হয় বলে জানা গিয়েছিল। তথ্য সূত্রে জানা যায়, প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই জুহুর ছয়তলা আবাসিক ভবনকে নাকি তিনি হোটেলে রূপান্তরিত করেছেন। তবে সেইসময় সেই অভিযোগকে অস্বীকার করলেওএবার তিনি আইনি পথেই যাবেন বলে জানা গেছে।

একটি জনৈক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে যে, বিএমসির নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বম্বে হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন করেছেন। সেইসঙ্গে আগামিকাল এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানা গেছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়নি বলেও জানা গেছে। বিএমসির এই অভিযোগকে যদিও অভিনেতা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন যে, তাঁর কাছে এই কাজের প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল এবং তিনি কেবল মহারাষ্ট্র উপকূলীয় অঞ্চল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বা এমসিজেডএমএ এর ছাড়পত্রের অপেক্ষা করছিলেন।

ফলত তিনি কোনো বেআইনি কাজ করেননি। অন্যদিকে, বিএমসির জুহু পুলিশকে করা অভিযোগে বলা হয় যে, সোনু সুদ জমির ব্যবহার শুরু করেছেন বা অগ্রাধিকার গ্রহণ করেছেন বা জমির ব্যবহার সম্পর্কিত পরিবর্তন করেছেন। সেক্ষেত্রে অনুমোদিত পরিকল্পনার বাইরে অননুমোদিত সংযোজন বা পরিবর্তন এবং ব্যবহারকারীর অননুমোদিত পরিবর্তন যোগ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত অনুমোদন না নিয়েই আবাসিক বাসভবনকে হোটেলে পরিবর্তন করেছেন।

সেখানে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসে বিএমসির নোটিশ পাঠানো হলেও অভিনেতা সেই নোটিশটি মানেননি এবং অননুমোদিত উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যদিও অভিনেতার তরফে কিছুদিন আগে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলা হয় যে তিনি বোম্বে হাই কোর্টের অর্ডার অমান্য করেননি। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয় যে আপাতত তাঁরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লকডাউনের সময় আপামোর দুঃখী মানুষদের মসীহ হয়ে উঠেছিলেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ।

নিজের কাজ দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। রিল লাইফে ভিলেন হলেও রিয়াল লাইফে যে একজন সমাজসেবক থেকে শুরু করে একজন অসাধারণ মনের পরিচায়ক, গোটা লকডাউনের সময়টায় তাঁর নানা কাজে প্রমাণ পেয়েছে দেশবাসী। সেইসঙ্গে লকডাউন চলাকালীন মানুষকে সাহায্য করার জন্য তিনি সম্প্রতি ‘পার্সোনালিটি অফ দ্য ইয়ার’ পুরষ্কারও পেয়েছেন।