এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মমতা সরকারকে “ডাকিনি-যোগিনীর সরকার” বলে কটাক্ষ হেভিওয়েট নেতার

মমতা সরকারকে “ডাকিনি-যোগিনীর সরকার” বলে কটাক্ষ হেভিওয়েট নেতার

তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত সরকারকে ‘ ডাকিনি-যোগিনীর সরকার’ বলে অ্যাখ্যায়িত করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বললেন , ” রাজ্যে ভোট-সন্ত্রাস চলছে। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের প্রত্যক্ষ মদতে ভয় দেখানো হচ্ছে বিরোধী প্রার্থীদের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এইসব হচ্ছে ।” এদিন তিনি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, রাজ্যজুড়ে তাঁদের প্রার্থীদের উপর মনোনয়ন তুলতে চাপ দেওয়া হয়েছে। অনেককে অপহরণ করে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

আর প্রশাসনেরও প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে এসবের পিছনে বলে তিনি মনে করেন।এদিন তিনি বললেন রাজ্য জুড়ে প্রদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনেক প্রার্থীকে আবার অপহরণ করে লুকিয়ে রাখার কথা ও তিনি অভিযোগ করে জানালেন। তিনি মনে করেন এসবের পিছনে প্রশাসনেরও প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে। তিনি বললেন, ” আমাদের প্রার্থীর উপর অসম্ভব চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। গুলি পর্যন্ত চালানো হয়। তবু সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি কংগ্রেস প্রার্থী।” উল্লেখ্য দৌলতাবাদের বারবাকপুর গ্রাম সংসদের কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে বেশ কয়েকদিন ধরে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছিলো। এমনকী শুক্রবার রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বোমা ছোঁড়া হয় বাড়িতে। প্রিয়াঙ্কাদেবীর স্বামী সঞ্জীব ঘোষ ও তাঁর ছেলে চিরঞ্জিত্‍ ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হন প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা দেবীর স্বামী ও পুত্র। এসব সত্বেও প্রিয়াঙ্কা দেবী সন্ত্রাসের কাছে না দমে তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করনেনি।এই ঘটনার সম্পর্কে জানার পরে শনিবার অধীর বাবু , প্রিয়াঙ্কা দেবীর বাড়িতে যান । তাঁর স্বামী এবং পুত্রের সাথে ও কথা বলেন অধীর বাবু। সেখানে তিনি বললেন, “এই অবস্থায় ৩৫৬ ধারা জারির করা দরকার। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই দাবি তুলব। অন্তত ৩৫৫ ধারা জারি করা জরুরি ।” এমনকি তিনি আদালতেও এই সন্ত্রাসের ঘটনা তুলবেন বলে জানান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!