এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পুজো নিয়ে বাঙালির মাতামাতি, বড়সড় করোনা ঢেউ এর আশঙ্কায় বুক কাঁপছে চিকিৎসক মহলে, আশঙ্কা ডাক্তার সূর্যকান্তরও!

পুজো নিয়ে বাঙালির মাতামাতি, বড়সড় করোনা ঢেউ এর আশঙ্কায় বুক কাঁপছে চিকিৎসক মহলে, আশঙ্কা ডাক্তার সূর্যকান্তরও!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের কারণে রাজ্য ও দেশজুড়ে গত মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল, সম্প্রতি চলছে যার আনলক পর্ব। এতদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গবাসী সরকারের লকডাউনের নির্দেশকে যতটা পেরেছেন পালন করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি দুর্গোত্সবের প্রাকলগ্নে বাঙালি কিছুতেই ঘরে বসে থাকতে রাজি নয়। করোনা সংক্রমণকে উপেক্ষা করেই পুজোর বাজার করতে বেরোচ্ছেন বাংলার মানুষ। জমছে ভিড় পুজোর বাজারে। আর যা থেকে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ।

কলকাতা ও কলকাতার নিকটস্থ শহরগুলিতে কিছুদিন ধরেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। যা কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদের। পুজোর বাজার করতে গিয়ে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তারপর পুজোর মন্ডপে একত্রিত যদি হয় অসংখ মানুষ, তবে করোনার পরিস্থিতি যে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে, এমন আশঙ্কা আছে চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের এই সাবধান বাণীকে সমর্থন জানালেন পেশায় চিকিৎসক সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

ওনাম উৎসব পালনের পর থেকে কেরালায় যে করোনার সুনামি তৈরি হয়েছিল, তেমনি ব্যাপকহারে করোনা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের এই সাবধান বানীকে সমর্থন জানিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র একটি টুইট করলেন। যেখানে তিনি জানালেন, ” চিকিত্‍সকদের পক্ষ থেকে এই সময়পোযোগী সতর্কবার্তাকে সমর্থন করি। ‘শারদোত্‍সব’ যেন শোকের কারণ না হয়ে ওঠে। রাজ্য সরকারকে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূর্যকান্ত বাবুর এই আশঙ্কা মোটেই অমূলক নয়। সম্প্রতি রাজ্যে যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে আশঙ্কিত হবারই কথা। প্রতিদিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ লাগামছাড়া ভাবে। যা উদ্বেগে রেখেছে চিকিৎসকদের। গতকাল পর্যন্ত চলতি মাসে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যাপকহারে করোনা আক্রান্তের ফলে হাসপাতালে বেডের অভাব সৃষ্টি হয়েছে। এর পর যদি উৎসবের মুহুর্তে ব্যাপকহারে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় তাহলে রাজ্যের করোনার পরিস্থিতিকে কিভাবে মোকাবেলা করা যাবে, যা নিয়ে ঘুম উড়ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করে প্রশাসনকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ৩০ হাজার মানুষ। কিন্তু সমগ্র রাজ্যে মোট করোনা চিকিৎসার বেডের সংখ্যা হল ১২,৭১৫ টি। অর্থাৎ, হাসপাতালে বেডের একটা বিরাট ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকরও কম হাসপাতালের বেড। এরপর যদি উৎসবের মুহুর্তে ব্যাপক জনসমাগমের ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বহুলভাবে বৃদ্ধি পায়, তবে পরিস্থিতি যে কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তর।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ইতিপূর্বে জানিয়েছিলেন যে, আগামী দিনে করোনার সংক্রমণ আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতে পারে, এর সঙ্গে উৎসবে জমায়েতের ফলে প্রচন্ডভাবে ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করে বারবার করে তিনি জনসমাগম এড়িয়ে যাবার পরামর্শ দিয়েছেন। আর সে সঙ্গে তিনি ঘরের মধ্যে থেকেই উৎসব পালনের আর্জি জানিয়েছেন দেশবাসীকে। তবে, দুর্গোৎসবের সময়ে বাঙালির পক্ষে ঘরে বসে থাকা সত্যিই কঠিন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!