এবার কি সম্মুখসমরে মমতা-শুভেন্দু? দাদা-দিদির অনুগামীদের লড়াইয়ে ক্রমশ জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি? উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 1, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। বর্তমানে বিভিন্ন দলহীন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। “দাদার অনুগামী” দিয়ে মঞ্চ তৈরি করে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে প্রচার করতে শুরু করেছেন তার অনুগামীরা। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বাধিনায়িকা হলেও তার কোনো ছবি বা পোস্টার চোখে পড়ছে না। যা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যত ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, দলের একাংশের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে এবং দীর্ঘদিন ধরে দলকে সাফল্য পাইয়ে দিলেও দলে কোনরূপ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা না পাওয়া এখন কার্যত ক্ষুব্ধ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। আর তাই নিজের অনুগামীদের দিয়ে পৃথক মঞ্চ গঠন করে নিজের মত করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারী যখন দাদার অনুগামী মঞ্চের মধ্যে দিয়ে তার নানা কথা বলছেন, ঠিক তখনই পাল্টা আবির্ভাব হতে গেল দেখা গেল দিদির অনুগামীদের। যাকে কেন্দ্র করে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। একাংশ বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে পথ চলতে শুরু করেছেন, তাতে তিনি দলবদল করতে পারেন বলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুবাবু যখন দাদার অনুগামী মঞ্চের মধ্যে দিয়ে তার সমস্ত কর্মসূচি করছেন, ঠিক তখনই পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনের সারিতে তুলে ধরে দিদির অনুগামী মঞ্চ গঠন করে মাঠে নেমে পড়লেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ। অর্থাৎ তৃণমূলের সর্বাধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এবার কার্যত সম্মুখ সমরে লড়াই বেধে গেল শুভেন্দু অধিকারীর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যদি কারো জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি হয়ে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগেই শুভেন্দুবাবুর নানা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যার পরবর্তী সময়কালে শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে সেই ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করেন বলে মনে করা হয়েছিল। যেখানে তিনি বলেছিলেন, “ছোটলোককে দিয়ে আমাকে বলা হচ্ছে। আমার লেভেলটা ওই নাকি! কুকুর কামড়ালে কুকুরকে কি পাল্টা কামড়ানো যায়!” অর্থ্যাৎ শুভেন্দুবাবু এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তার সঙ্গে মূল লড়াই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। এক্ষেত্রে কারো কোনো বক্তব্যের পরোয়া যে তিনি করবেন না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সমালোচক মহলের কাছে। আর এমত পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই প্রধান অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছেন, সেই ব্যাপারটি কার্যত স্পষ্ট ছিল বিশেষজ্ঞদের কাছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় “দাদার অনুগামী” মঞ্চের মধ্যে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বড় করে তোলার চেষ্টা হলেও, কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব, তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। এমত পরিস্থিতিতে অবশেষে দিদির অনুগামী মঞ্চ গঠন করা হল। যার ফলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের লড়াই আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। এখন সম্মুখ সমরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর এই লড়াই আগামীদিনে বঙ্গ রাজনীতিকে কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -