এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অন্যদল ভাঙিয়ে দল বাড়াতে গিয়ে নেতাদের মুখ দেখাদেখিই নেই উপরতলায়? দিশেহারা তৃণমূলের নীচুতলা?

অন্যদল ভাঙিয়ে দল বাড়াতে গিয়ে নেতাদের মুখ দেখাদেখিই নেই উপরতলায়? দিশেহারা তৃণমূলের নীচুতলা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন দল যখন নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত, সে সময় শাসক দল তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। অভিযোগ উঠেছে, দলের পুরোনো নেতাদের গুরুত্বহীন করে দিয়ে অন্য দল থেকে আনা নেতাদেরকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। অন্যদল থেকে অধিক পরিমাণে নেতা তৃণমূলে আনতে গিয়ে, দলের সাংগঠনিক কাঠামোই ভেঙে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। জেলার উপর তলার নেতাদের ক্রমাগত বিরোধে দলের নিচুতলার নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের এই গোষ্ঠী কোন্দলের ফল যে হাতে হাতে মিলবে শাসকদলের, সেবিষয়ে একমত অনেকেই।

মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল দলের ব্যাপক মতভেদ, অন্তর্দ্বন্দ্ব সম্পর্কে জনৈক তৃণমূল নেতা জানালেন যে, মুর্শিদাবাদ জেলার নেতাদের পারস্পরিক বিরোধ এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, একে অন্যের মুখ দেখা পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে চলেছেন। সম্প্রতি রাণীনগরে এক তৃণমূল কর্মী খুন হলে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করেছিল। কিন্তু জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে খারিজ করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আবু তাহের খান সঠিক কাজই করেছেন। কংগ্রেসের দাবি, নিজেদের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতেই রাণীনগরের তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে রাণীনগরের এক তৃণমূল কর্মী জানালেন যে, দলের দুজন নেতা দুরকম কথা বলছেন। কর্মীরা কোন দিকে যাবেন? কাকে বিশ্বাস করবেন? তা তারা বুঝতে পারছেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান যে, দলের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে, আগামী দিনে ভোটের লড়াই লড়াটাই দলের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তৃণমূল নেতা শাহ আলম সরকারের বিরুদ্ধে জেলা সভাপতি আবু তাহের খান একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শাহ আলম সরকার জানালেন যে, উপরতলার নেতাদের আচরণ নিচুতলার নেতাদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। তাই জেলা নেতৃত্বকে আরো অনেকটা সংযত হওয়ার প্রয়োজন আছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, জেলা সভাপতি নিজের ভাগ্নেকে দলের নেতা বানাতে গিয়ে দলের বিরাট ক্ষতি করেছেন। তৃণমূল নেতা শাহ আলমের মন্তব্যের জবাবে জেলা সভাপতি আবু তাহের খান জানিয়েছেন, ” সত্যটা সব সময় সামনা সামনি বলব, সে দলের লোক হোক বা বাইরের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তৃণমূলে এসেছি। দায়িত্বে থাকা পর্যন্ত কোনও রকমের নোংরামি বরদাস্ত করব না আমি।’’

আবার তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে রানিনগর ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ও সেইসঙ্গে রানিনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিনুল হাসান জানালেন যে, গ্রামেগঞ্জে এখন একটা কথাই শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। যা হলো, “সৌমিক যেখানে খুন হয় সেখানে।” দলের রাজ্য নেতৃত্বর কাছে তাঁরা সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ব্লক সভাপতি আমিনুল হাসানের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন জানালেন যে, তিনি তৃণমূলের সৈনিক। দল তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, কংগ্রেস, সিপিএম থেকে উড়ে আসা লোকজনদের কথাকে গুরুত্ব দিতে তিনি একান্তই নারাজ।

এভাবেই জেলায় বাড়ছে দলের গোষ্ঠী কোন্দল। এমনটাই যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় ব্যাপকভাবে পর্যুদস্ত হবে শাসক দল, এমনটাই বিশ্লেষকদের মতামত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!