এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জেলে যেতেই অসুস্থ বোধ করে ভোররাত্রে SSKM-এ ভর্তি মদন-শোভন! উত্তম স্পেশ্যাল জেলে সুব্রত-ববি

জেলে যেতেই অসুস্থ বোধ করে ভোররাত্রে SSKM-এ ভর্তি মদন-শোভন! উত্তম স্পেশ্যাল জেলে সুব্রত-ববি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দীর্ঘ নাটকীয় টানাপোড়েন। নারদ কান্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর বিকেলে জামিন পেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রী বলে খবর আসে। কিন্তু রাত সাড়ে দশটার সময় হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হয়ে যায়, জামিন নয়। আপাতত জেলেই থাকতে হবে এই চার প্রভাবশালী ব্যক্তিকে। মুহুর্তের মধ্যে তোলপাড় হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জানা গেছে, বুধবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলে থাকতে হবে শাসকদলের এক প্রাক্তন নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং দুই বর্তমান মন্ত্রী এবং এক বিধায়ককে।

এদিকে সোমবার রাতে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নিম্ন আদালতের জামিনের নির্দেশকে কার্যত খারিজ করে দেওয়ার পরেই প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের মধ্যেই অসুস্থতা বোধ করেন তৃণমূলের বর্তমান বিধায়ক মদন মিত্র এবং শাসকদলের প্রাক্তন নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। যার কারণে তাদের দু’জনকেই এখন অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে খবর।

বলা বাহুল্য, এর আগে মদন মিত্র যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন, তখন মাঝেমধ্যেই তার অসুস্থতার খবর সামনে আসতে শুরু করে। অনেকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার বদলে মদন মিত্র পালিয়ে বেড়াতে অসুস্থতার নাটক করছেন। যদিও বা তার শরীর ক্রমশ অবনতির দিকে যেতে শুরু করে। আর এবার নারদ কান্ডে হাইকোর্টের রায়ের পর প্রেসিডেন্সি জেলে প্রবেশ করতে না করতেই সেই মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন। যা নিয়ে তাদের অনুগামীদের মধ্যে এখন ব্যাপক আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এদিকে মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় অসুস্থতা বোধ করলেও, প্রেসিডেন্সি জেলের উত্তম কুমার স্পেশাল সেলে রয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বলা বাহুল্য, এই প্রথম কোনো অভিযোগের দায়ে হাজতবাস হল তাদের। তাও মন্ত্রী থাকাকালীন তাদের এই হাজতবাস তাদের মনে যে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে, তা বলাই যায়। ইতিমধ্যেই তাদের চোখ মুখের ছাপে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার সকালে চেতলার বাড়ি থেকে সিবিআই কর্তারা গিয়ে আটক করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। অন্যদিকে সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেস নিয়ে আসা হয় রাজ্যের আরেক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর তারপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। এদিকে বেলা যত বাড়তে থাকে, ততই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। কিন্তু সন্ধ্যে নাগাদ স্বস্তির খবর আসে তৃণমূলের কাছে।

যেখানে ব্যাঙ্কশাল আদালতের পক্ষ থেকে এই সমস্ত শাসক দলের নেতা, বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের জামিন দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু তখনও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ছাড়া হয়নি ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর স্বস্তির খবরের মাঝেই বড় অস্বস্তির খবর হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টের সাড়ে দশটার রায় জানিয়ে দেয় বুধবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলে থাকতে হবে এই চার হেভিওয়েটকে।

আর তারপরই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তাদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা তৈরি হয়। রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ। এদিকে শ্রীঘরে যেতে না যেতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে চোখেমুখে হতাশা এবং বিরক্তি ভাব ফুটে উঠলেও এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!