এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেত্রীর চিন্তা বাড়িয়ে ফেডারেল ফ্রন্টের ফাটল আরও চওড়া হল – দূরত্ব বাড়ালেন এই হেভিওয়েট

তৃণমূল নেত্রীর চিন্তা বাড়িয়ে ফেডারেল ফ্রন্টের ফাটল আরও চওড়া হল – দূরত্ব বাড়ালেন এই হেভিওয়েট


১৯’এর বিগ্রেড সমাবেশের আগে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা কট্টর বিজেপি বিরোধী নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। কিন্তু অবিজেপি রাজনৈতিক দলের সংগঠন পোক্ত করতে ডাকা এই বৈঠকের ভবিষ্যত আপাতত প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। ডিসেম্বরের ১০ তারিখ আয়োজিত এই বৈঠকে বসপা নেত্রী মায়াবতী উপস্থিত থাকছেন না।

এমনকি মায়াবতীর দলের কোনো প্রতিনিধিও হাজির থাকছেন না সংশ্লিষ্ট বিরোধী বৈঠকে,এমনটাই রাজনৈতিক সূত্রের খবর। এমনটাই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট এবং বঙ্গের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিন সংক্রান্ত আপত্তি থাকার জন্যে বিরোধী বৈঠক পিছিয়ে গিয়েছে একদফা। তারপর বিজেপি বিরোধী বসপা নেত্রীর বৈঠকে হাজির না হওয়ার খবর সামনে আসায় ফেডারেল ফ্রন্টের ফাটল চওড়া হল।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির মহাজোটে ধরাশায়ী অবস্থা হয়েছে বিজেপির। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র গোরক্ষপুরেই বিজেপিকে কোনঠাসা করেছে বিরোধীরা। যে সমীকরণ সাজিয়ে উত্তরপ্রদেশে বাজিমাত করেছে বিরোধীরা,সেই ফর্মুলাকেই লোকসভা নির্বাচনে ব্যবহার করতে চায় বিরোধীরা। কর্নাটক নির্বাচনেও এই একই ছক কষেই জয় হয়েছে বিরোধী জোটের। তাই আসন্ন নির্বাচনে বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করতে এই ফর্মুলাই সুফল দেবে,এমনটাই বিশ্বাস বিরোধীদের।

সব ঠিকঠাক থাকলেও মাঝখানে সমস্যা তৈরি করলেন বসপা নেত্রী মায়াবতী। বিজেপি বিরোধী বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন৷ এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন পরিষ্কার। এটাই এখন চিন্তার কারণ হয়েছে বিরোধী শিবিরের। এর আগেও মায়াবতী কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোট ভেঙে দেন। আসন সমঝোতায় সন্তুষ্ট নন এই যুক্তিকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন।

এমনকি ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থানে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন। ভোটের প্রচারেও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বসপা নেত্রীর বিরোধী বৈঠকে হাজির না হওয়ার সিদ্ধান্তে চাপের মুখে পড়ে গেল ফেডারল ফ্রন্ট।

তবে,কংগ্রেসের মতে মায়াবতীর বিরোধী বৈঠকে হাজির না থাকার মানেই যে লোকসভায় বিরোধী জোট শেষ হয়ে যাওয়া, এমনটা নয়। এক কংগ্রেস নেতা এ প্রসঙ্গে জানালেন,এ ব্যাপারে বিএসপি নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে কংগ্রেসের তরফ থেকে। বসপা নেত্রী হয়তো পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল দেখে পরিস্থিতি বুঝে নিতে চাইছেন,ভোট হয়ে গেলে হয়তো তিনি বিরোধী জোটে যোগ দেবেন। এমনটাই অনুমান তাঁর।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে বৈঠকে বসার আগে নাইডু হয়তো ফের একবার ব্যক্তিগতভাবে মায়াবতীকে বৈঠকে হাজির হওয়ার জন্যে আবেদন করতে পারেন,এমনটাই আশা কংগ্রেস নেতাদের৷ তবে তাতে বসপা নেত্রীর মত পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এই প্রেক্ষিতে বড়সড় স্বস্তির হাওয়া এখন গেরুয়াশিবিরে। বিরোধী জোটে ফাটল ধরলে তার সুফল যে বিজেপি ভোগ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!