এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রত গড়ে তৃণমূলের বড় ভাঙ্গন, টিকিট না পেয়ে হেভিওয়েট নেতা নির্দল প্রার্থী!

অনুব্রত গড়ে তৃণমূলের বড় ভাঙ্গন, টিকিট না পেয়ে হেভিওয়েট নেতা নির্দল প্রার্থী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা না পেয়ে অনেক হেভিওয়েট নেতা ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। তবে বিপক্ষ শিবিরে নাম না লিখিয়ে ভোটের মুখে দল ছেড়ে নির্দলের টিকিটের দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি আলি মুর্তাজা খান। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোটের মুখে হেভিওয়েট জেলা নেতা যেভাবে দল ছেড়ে নির্দলের টিকিটে দাঁড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন, তাতে তৃণমূলের অন্দরমহলে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

বলা বাহুল্য, বীরভূম জেলার সর্বেসর্বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে তার দাপটে বিরোধীরা কার্যত এক ঘাটে জল খায় বলেই মনে করেন সকলে। কিন্তু সেই অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে যেভাবে দলত্যাগ করতে দেখা গেল সহ-সভাপতিকে, তাতে সেই জেলায় তৃণমূলের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হতে হয়েছিল আলী মুর্তাজা খানকে। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তবে এবার যাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে প্রার্থী করা হয়, তার জন্য আবেদন জানান আলী মুর্তাজা খান। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয় আব্দুর রহমানকে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান করোনা আক্রান্ত হলে তৃণমূল প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নেয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই এরপর আলী মুর্তাজা খান আশা করেছিলেন, তাকে প্রার্থী করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে প্রার্থী না করে এই কেন্দ্রে মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করা হয়। আর এতেই রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এই তৃণমূল নেতা। যার পরিপ্রেক্ষিতে দলত্যাগ করে এখন নির্দলের টিকিটে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এদিন এই প্রসঙ্গে আলী মুর্তাজা খান বলেন, “ভেবেছিলাম, নতুন প্রার্থী তালিকায় আমার নাম থাকবে। পরে দেখা গেল চিকিৎসক, শিশু বিশেষজ্ঞ মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এতেই আমাদের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকলের মতামত নিয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী 7 এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেব।”

আর এখানেই প্রশ্ন, তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নির্দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়ে দিলেন, তাতে তৃনমূলের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থকদের ভোট তার দিকে চলে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে এখানে ভোট কাটাকুটিতে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের চাপ বাড়তে পারে বলেই দাবি করছেন একাংশ।

একদিকে বিরোধী দল বিজেপির চাপ এবং অন্যদিকে হেভিওয়েট নেতা যেভাবে দলত্যাগ করে নির্দলের টিকিটে দাঁড়ানোর কথা জানালেন, তাতে ঘাসফুল শিবির যে বীরভূম জেলায় কিছুটা হলেও অস্বস্তির মুখে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!